Rajyasabha রাজ্যসভায় নতুন ইনিংস শুরু হল ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জহর সরকারের ছেড়ে যাওয়া পদে তাঁকেই প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করেছে ঘাসফুল শিবির। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই সাংসদ হলেন তৃণমূলের শ্রমিক নেতা। শুক্রবার বিধানসভায় গিয়ে শংসাপত্র নিলেন আইএনটিটিইউসির সভাপতি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ। তৃণমূলের তরফে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে এই খবর জানানোর পাশাপাশি ঋতব্রতকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ঋতব্রত উচ্ছ্বসিত নিজেও। শংসাপত্র পাওয়ার মুহূর্তের একাধিক ছবি নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেন তিনি। উরুগুয়ের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও লেখক এডুয়ার্ডো গ্যালিয়ানোর উক্তি উদ্ধৃত করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন, “ইতিহাস কখনও কাউকে বিদায় বলে না। শুধু বলে, পরে দেখা হবে।” জহর সরকারের জায়গায় কাকে পাঠানো হবে সংসদের উচ্চকক্ষে, তা নিয়ে চলছিল জোর গুঞ্জন। গত শনিবার, ৭ ডিসেম্বর সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এক্স হ্যান্ডলে রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করে ঘাসফুল শিবির। এই আসনে ঋতব্রতর বিরুদ্ধে আর কেউ মনোনয়ন জমা দেননি। তাই ১৩ ডিসেম্বর, শুক্রবার ঋতব্রতকেই জয়ী ঘোষণা করা হল।
Read More: মোদী সরকারকে ‘সুপ্রিম’ বার্তা – দেশজুড়ে বাড়তে থাকা বেকারত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন শীর্ষ আদালত
একদা বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ঋতব্রত। ২০১৪ সালে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল সিপিএম। সিপিএমের সঙ্গে সম্পন্ন ছিন্ন হবার পর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভায় দলহীন সাংসদ হয়েই থাকতে হয়েছিল তাঁকে। ২০২০ সালে রাজ্যসভায় সাংসদ হিসাবে মেয়াদ শেষের পরে ঋতব্রত যোগ দেন তৃণমূলে। তাঁকে শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি তিনি। রাজ্যসভায় সিপিএম এবং পরবর্তী সময়ে দলহীন সাংসদ থাকাকালীন ঋতব্রতের বক্তৃতা প্রশংসিত হত সব মহলেই। সুবক্তা তরুণ নেতা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তৃতা করতেন সংসদের উচ্চকক্ষে। সে সব বক্তৃতায় থাকত নিবিড় অধ্যয়নের ছাপ। তৃণমূলের সাংগঠনিক দায়িত্ব পাওয়ার পরে নিষ্ঠার সঙ্গে করে গিয়েছেন তিনি। ঋতব্রতের নাম রাজ্যসভার প্রার্থী হিসাবে ঘোষণার পরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ‘‘কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি মিলবেই।’’ ঋতব্রতের মনোনয়নে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এক্স পোস্ট করেছিলেন আইপ্যাক কর্তা প্রতীক জৈনও।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1867552088105824481?s=19