Trinamool রুচিহীন মন্তব্য করে বিতর্কের কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তাঁর দাবি, বিরোধী শিবিরের সাংসদদের কেউই নাকি সংসদের সদস্য হওয়ার যোগ্য নন! স্বাভাবিকভাবেই মোদীর মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বিরোধী দলগুলি৷ এপ্রসঙ্গে সবার আগে প্রতিবাদ জানাতে এগিয়ে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ নয়াদিল্লীতে দলীয় সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর অপমানজনক মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে সংসদে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিশ পেশ করবে ঘাসফুল শিবির৷ সূত্রের দাবি, তৃণমূলের তরফে আনা স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাবে সম্মতি জানাতে পারে বিরোধী শিবিরের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল৷ এই প্রস্তাব গৃহীত হলে আরও একবার শাসক-বিরোধী দ্বৈরথের সাক্ষী থাকতে পারে সংসদের উচ্চকক্ষ৷ বিরোধীদের আক্রমণের মুখে এবার মোদী সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও মেজাজ হারিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে অপমানজনক কথাবার্তা বলে বসছেন। প্রতিদিনই বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে পরিকল্পিত হই-হট্টগোল করে সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন মুলতুবি করতে বাধ্য করছে ট্রেজারি বেঞ্চ৷ এই ঘটনা সহ্য করতে একেবারেই নারাজ বিরোধী শিবির৷ সংসদ চলতে না দেওয়া এবং সভা পরিচালনায় অগণতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদে সংসদের ভিতরে ও বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিরোধী শিবিরের সাংসদরা৷
বিরোধীদের দাবি, দিনের পর দিন একইভাবে সংসদ অচল করে প্রকৃতপক্ষে সংসদীয় গণতন্ত্রকে হত্যা করছে এই সরকার৷ এই অভিযোগকে হাতিয়ার করে বুধবার রাজ্যসভার অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজুকে চেপে ধরেন বিরোধী শিবিরের সাংসদরা৷ এই সময়েই রিজিজু দাবি করেন, বিরোধীরা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যে অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা বলছেন, তা পুরোপুরি অনৈতিক৷ রিজিজুর এই দাবিকে নস্যাত্ করে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিরোধীরা৷ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদে বসেও যেভাবে শাসক শিবিরের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন জগদীপ ধনকর, তা মানা হবে না বলে সাফ জানায় বিরোধী পক্ষ ৷ এর পরেই বিরোধী সাংসদদের উদ্দেশে অপমানজনক তির্যক মন্তব্য করেন কিরেণ রিজিজু৷ যার পরই প্রতিবাদে ফেটে পড়ে বিরোধীরা।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1867280147868791269