Mamata Banerjee সৈকতশহর দিঘায় রাজ্যের উদ্যোগে গড়ে উঠতে চলেছে জগন্নাথধাম। এই সূবিশাল মন্দির নির্মাণে পুরোদস্তুর সমর্থন রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশনের। তাদের মতে, মন্দির গড়ে উঠলে পর্যটনের পাশাপাশি আধ্যাত্মিক পরিবেশও তৈরি হবে। রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগকে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কলকাতা রওনা হওয়ার আগে এদিন সারদা রামকৃষ্ণ মিশনের (দিঘা) অধ্যক্ষ স্বামী নিত্যবোধানন্দজি মহারাজ তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। মুখোমুখি সাক্ষাতে অধ্যক্ষ মহারাজ বলেছেন, দিঘায় জগন্নাথধাম গড়ে উঠলে পর্যটনের পাশাপাশি আধ্যাত্মিক পরিবেশও গড়ে উঠবে, যা দিঘার পক্ষে ভালই হবে। ভ্রমণ ও খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি একটু পুজোপাঠ, আধ্যাত্মিকতাও চায় মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, “বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন দিঘায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চায়। এই মর্মে তারা দিঘায় জমি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছে। বৃহস্পতিবার হেলিপ্যাডে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই আবেদন জানান দিঘার সারদা-রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ। তৎক্ষণাৎ মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন উপযুক্ত জায়গা খুঁজে বার করার।”
Read More:জামালপুরের সব সমবায় নির্বাচনেই সবুজ ঝড়! – বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল
এরপর দিঘার মহারাজ বলেন, “আমরা দু-তিনটে জায়গা দেখেছি। সে-কথা মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছি। আমাদের ১০ থেকে ১৫ একর জায়গা লাগবে। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।” দেড়টার কিছু পরে হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনও তাঁকে দেখতে উপচে পড়েছিল স্থানীয় মানুষদের ভিড়। দলীয় নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। অখিল গিরি, যুবনেতা সুপ্রকাশ গিরি, জেলা সভাধিপতি উত্তম বারিক, পীযূষ পন্ডা, তরুণ মাইতি, তরুণ জানা-সহ একাধিক জেলার নেতারা হাজির ছিলেন সেখানে। এখানেই পূর্ব মেদিনীপুর প্রেস ক্লাবের তরফে সাংবাদিকেরা মুখ্যমন্ত্রীকে একটি উপহার দেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বলেন, “এই জগন্নাথধাম গড়ে উঠছে, যা বিশ্বের একটা আইকনিক মন্দির হিসেবে ভবিষ্যতে চিহ্নিত হবে। আপনাদের দায়িত্ব আরও বাড়ল। একে তুলে ধরার দায়িত্ব যেমন আপনাদের রয়েছে, একইসঙ্গে এই মন্দির-সংক্রান্ত বিষয়ে বা তার আশপাশ নিয়ে কোনও তথ্য বা কোনও বিষয় জানাতে চাইলে সরাসরি জেলাশাসককে আপনারা জানাবেন।” এই মর্মে তিনি জেলাশাসককে নির্দেশ দেন একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করতে। সবার মতামত নিতে বলেন। নজর দিতে বলেন জেলা পরিষদের কাজের দিকেও।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1867282494263111688?s=19