মুশকিল আসান হয়ে দাঁড়াল সেই ‘দিদিকে বলো’। বার বার আবেদন করেও মিলছিল না সমাধান। অবশেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা দিদিকে বলো কর্মসূচির কল্যাণেই আবাসের ঘর পেলেন মাথাভাঙার বিজেপির মণ্ডল কমিটির সহ-সভাপতি। মঙ্গলবার মাথাভাঙার পচাগড় গ্রামে এই বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা করেছেন সরকারি কর্মীরা। বিজেপির মাথাভাঙা বিধানসভার মণ্ডল কমিটির সহসভাপতি সৌরেন্দ্র মণ্ডল বলেন, পাকা ঘরের জন্য আবেদন করেছিলেন কিন্তু তার বাড়িতে কোনও সমীক্ষা না হওয়ায় তিনি মাস পাঁচেক আগে দিদিকে বলো নম্বরে ফোন করেছিলেন তিনি৷ এরপর কলকাতা থেকে সেই নম্বর থেকে ফোন করা হয়। কী তাঁর অসুবিধে জানতে চাইলে তিনি বলেন তাঁর পাকা ঘর নেই। তিনি আবেদন জানালেও তাঁর বাড়িতে সমীক্ষা হয়নি।
এরপরই মঙ্গলবার তাঁর বাড়িতে সরকারি কর্মীরা সমীক্ষায় এসেছিলেন। বিজেপি নেতা বলেন, এখন তিনি নিশ্চিত হয়েছেন আবাস যোজনার পাকা ঘর পাচ্ছেন। পাকা ঘর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে এই বিজেপি কর্মী পেশায় কাঠমিস্ত্রি। তাঁর পাকা বাড়ি নেই। সেজন্য পাকা বাড়ি তৈরির সামর্থ্য না থাকায় তাঁর ভরসা ছিল আবাস যোজনার পাকা বাড়ি। তিনি বলেন, তিনি বিজেপি দল করলেও দিদিকে বলোতে ফোন করে আবাসের ঘর পেয়েছেন। পচাগড়ের সেই গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য বিকন দত্ত বলেন, বিজেপি কর্মী হলেও তিনি যে এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন তাতে তাঁরা খুশি৷ “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব প্রকল্পের সুবিধা সব দলের সবাই পান। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো আবাস যোজনা প্রকল্পের সুবিধাও পাচ্ছেন সকলে”, জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক।