পরিস্থিতিতে আসেনি বিন্দুমাত্র পরিবর্তন। জাতিদাঙ্গার আগুনে এখনও জ্বলছে উত্তর-পূর্বের এই বিজেপিশাসিত রাজ্য। হিংসা রুখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ মোদী সরকার। হেলদোল নেই কেন্দ্রেরও। এমতাবস্থায় নিরাপত্তা বাহিনীর অপদার্থতা এবং প্রশাসনের সিদ্ধান্তহীনতার জেরে এবার মণিপুর বিজেপিতে দেখা দিয়েছে আভ্যন্তরীণ বিভাজন ও দ্বন্দ্ব। স্বাভাবিকভাবেই চাপে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব৷ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দলে দলে বিজেপি বিধায়করা দল ছাড়ছেন৷ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন বিজেপির একঝাঁক বিধায়ক৷ এক মুহূর্তের জন্য মণিপুরে যাওয়ার সময় হয়নি প্রধানমন্ত্রীর। মঙ্গলবার রাজ্যের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পর্যালোচনা করার জন্য জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং৷ এই বৈঠক বয়কট করেছেন রাজ্যের ১১ জন বিজেপি বিধায়ক৷ সোমবারই এন বীরেন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছিল কনরাড সাংমার এনপিপি৷ তারপরে মঙ্গলবার যেভাবে ১১ জন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠক বয়কট করেছেন, তার পরে রীতিমতো চিন্তায় পড়েছে গেরুয়াশিবির।
পাশাপাশি, এরই মাঝে রাজ্যের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার জন্য মণিপুর সরকারকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছে মেইতে নাগরিক সমাজ৷ কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে, পাশাপাশি রাজ্যের সর্বত্র শান্তি ফেরাতে হবে, এমন দাবি তুলে রাজ্য সরকারকে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা দিয়েছে মেইতে নাগরিক সমাজ৷ এসবের মাঝেই মঙ্গলবার নতুন করে উত্তপ্ত হয়েছে জিরিবাম এলাকা৷ এখানকার উত্তেজনা প্রশমন করার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের আরও বেশি সংখ্যায় মোতায়েন করা হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশের পরে মণিপুর পৌঁছেছে আরও আধা সামরিক বাহিনী৷ সরকারি সূত্রের দাবি, বর্তমানে মণিপুরের বিভিন্ন প্রান্ত মিলিয়ে মোতায়েন থাকা সেনার সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়িয়েছে৷ এরই মাঝে মঙ্গলবার সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, জিরিবাম এলাকায় সাধারণ নাগরিকদের উপরে গুলি চালনার ঘটনার জেরে রাজ্য পুলিশের সিনিয়র এসপি নেকটার সনজীনবামকে ডিউটি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।