আজ, বুধবার বিধানসভা নির্বাচন চলছে মহারাষ্ট্রে। ভোটের ঠিক প্রাক্কালেই নতুন বিতর্কের কেন্দ্রে বিজেপি। ভোট কিনতে ১৫ কোটি টাকা বিলির অভিযোগ উঠল পদ্মশিবিরের বিরুদ্ধে। মুম্বইয়ের বিরারে টাকা বিলি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন খোদ বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে! এ ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় দেশের রাজনৈতিক আবহ। উল্লেখ্য, একনাথ শিন্ডেকে দল ভাঙিয়ে আনা ও বিজেপি জোটের ক্ষমতা দখলের অন্যতম ‘মাস্টারমাইন্ড’ বিনোদ তাওড়ে। শোনা যাচ্ছে, জেপি নাড্ডার পর তাঁকেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি করা হতে পারে। তাওড়ে মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ বিরারের একটি তিন তারা হোটেলে আসেন। অভিযোগ, সেখানকার এক ঘরে বসে কোটি কোটি টাকা বিতরণের পরিকল্পনা চলছিল। প্রমাণ লুকোতে হোটেলের সিসি ক্যামেরা পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই পুরো হোটেল ঘিরে ফেলেন বিরোধী দল বহুজন বিকাশ আঘাড়ি (বিভিএ)-র কর্মীরা। শুরু হয় বিক্ষোভ। তাওড়ের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নালাসোপারা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাজন নায়েকও। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক টেবিলের সামনে তাওড়ে বসে। তাঁকে ঘিরে প্রচুর লোক। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘এখন খবর’।
উক্ত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ব্যাগ থেকে পাওয়া টাকা হাতে তুলে দেখাচ্ছেন কয়েকজন। ঘটনাস্থলে আসেন বিভিএর প্রধান হিতেন্দ্র ঠাকুর ও তাঁর ছেলে তথা নালাসোপারার বিধায়ক ক্ষিতীজ ঠাকুর। তাওড়ের থেকে একটি খয়েরি রঙের ডায়েরি ছিনিয়ে নিতে দেখা যায় ক্ষিতীজকে। বিক্ষোভকারীরা জানান, বিজেপির শীর্ষ নেতার ব্যাগ থেকে পাঁচ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। সোমবার নির্বাচনী প্রচারের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর এদিন ভিরারের হোটেলে হঠাৎ কী করতে গিয়েছিলেন তাওড়ে? উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই আসরে নেমেছে নির্বাচন কমিশন। তাওড়ের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, হোটেলে তাওড়ের ঘর থেকে ৯ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ভোটের আগের দিন নাসিকের একটি হোটেল থেকেও প্রায় দু’কোটি নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে কমিশন। যা নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছে মহারষ্ট্রে বিরোধী জোট মহা বিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ)। সরাসরি মোদীকেই নিশানা করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। “মোদীজী, এই পাঁচ কোটি টাকা কার সিন্দুক থেকে বের হল? জনতার থেকে টাকা লুট করে আপনার কাছে কে পাঠাল?”, কটাক্ষ তাঁর।