এবার শীর্ষ আদালতের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, মুচলেকা দিলে জীবন বাঁচানো যায় না। প্রসঙ্গত, হাওড়ার শ্যামপুরে কামারপুর রোড দেউলি বাজার জংশনে এদিন বিকেলে সভার আয়োজন করে বিজেপি। কিন্তু যুক্তিসঙ্গত কারণেই সেই সভার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। কিন্তু তারপরই স্বভাবসিদ্ধভাবে আদালতে ছোটেন বিরোধী দলনেতা। পুলিশের তরফে আদালতে জানানো হয়, সভাস্থলে যাওয়ার রাস্তা খুবই সরু। ফলে সেখানে জেড ক্যাটাগরির কনভয়ের যাতায়াত নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
জবাবে শুভেন্দুর আইনজীবী জানান, “নিরাপত্তা নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না, আমরা মুচলেকা দিয়ে দেব।” এই শুনেই ক্ষোভ উগরে দেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “মুচলেকা দিলেই জীবন বাঁচানো যায় না। এই শেষবারের জন্য অনুমতি দিচ্ছি!” তিনি স্পষ্ট জানান, জাতীয় সড়কের ধারে সভা করলে অনুমতি দেওয়া হবে। কিন্তু সভাস্থলের রাস্তা ২০ মিটারের কম চওড়া হলে সেখানে সভার অনুমতি দেওয়া হবে না। ফলে আদালতের রায়ে ফের প্রমাণ হয়ে গেল, যুক্তিসঙ্গত কারণেই ওই সভার অনুমতি দেয়নি পুলিশ।