গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাল, অর্থ দফতরের কর্মীদের হাজিরার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বায়োমেট্রিক পদ্ধতিই গ্রহণযোগ্য হবে। এতদিন বায়োমেট্রিকের পাশাপাশি হাজিরা খাতায় সই করার পদ্ধতি চালু থাকলেও, এবার ওই সুবিধা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। এই মর্মে দফতরের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নবান্নে অর্থ দফতরের সব বিভাগ এবং শাখার সর্বস্তরের কর্মীদের জন্য একমাত্র বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরাই বৈধ হিসাবে গণ্য করা হবে। জেলা বা অন্য দফতর থেকে পদোন্নতি বা বদলি হয়ে যাঁরা নবান্ন আসবেন, কাজে যোগ দিয়েই তাঁদের বায়োমেট্রিক সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে হবে। একইভাবে যাঁরা নবান্ন থেকে অন্যত্র বদলি হয়ে যাবেন, বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা বন্ধ করার কথা আগাম জানাতে হবে তাঁদের।
প্রসঙ্গত, বিগত ২০২৩ সালের মে মাসে অর্থ দফতর নবান্নে হাজিরার বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হলেও খাতায় সইয়ের পুরনো ব্যবস্থাও রেখে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনেক কর্মীই এখনও তা ব্যবহার করছেন না। অন্য কোনও দফতর থেকে যাঁরা বদলি হয়ে এসেছেন, তাঁরা অনেকেই বায়োমেট্রিক সংক্রান্ত তথ্যও জমা করেননি। সকলে বায়োমেট্রিক ব্যবহার না করায় মাসের শেষে কর্মীদের হাজিরা সংক্রান্ত রিপোর্ট বানাতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। এই অনিয়মে লাগাম টানটেই কঠোর নির্দেশিকা জারি করা হল বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্যে সরকারি দফতরে কর্মসংস্কৃতি মজবুত করতে প্রথম থেকেই তৎপর ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে নবান্নে বিভিন্ন দফতরে আচমকা চলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তখন তিনি অর্থ দফতরও পরিদর্শন করেছিলেন। কর্মীদের হাজিরা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার পরেও ২৫ শতাংশ কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এর পরেই কর্মীদের সকাল সওয়া ১০টায় হাজিরা এবং বিকেল সওয়া ৫টা পর্যন্ত অফিসে থাকার নির্দেশ দেয় রাজ্য।