সামনেই বিধানসভা নির্বাচন মহারাষ্ট্রে। কয়েক মাস আগে সে রাজ্যে ‘লাডকি বহিন’ প্রকল্প চালু করে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। যা আদতে বাংলার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর অনুকরণ। ‘লাডকি বহিন’ প্রকল্পে মহিলাদের মাসে ১৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। এরপর ভোটপ্রচারে কোলাপুরে বিজেপির জোটের সভায় শিন্ডে প্রতিশ্রুতি দেন, বিধানসভা ভোটে জিতলে এই ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে ২১০০ টাকা করা হবে। এবার এ নিয়ে কড়া ভাষায় সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানালেন, ভোট প্রচারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে মহারাষ্ট্রে। পাহাড় সফরে এদিন বেলা দেড়টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে মমতা বলেন, “অন্য কোনও রাজ্যের বিষয়ে কোনও টিপ্পনি কাটতে চাই না। নির্বাচনের আগে এ রকম মন্তব্য করা উচিতও নয়। তবে নিশ্চয়ই চাইব, মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিন।” এরপর বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছন মমতা।
এরপর সাংবাদিকরা মহারাষ্ট্রের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালুর বিষয়ে জানতে চাইলে মমতা কটাক্ষ করে বলেন, “ওটা মিথ্যে! আমি ওটা খুঁজে বার করেছি। কেন মিথ্যে বলছেন আপনারা? রাজ্য সরকার তো তফশিলি জাতি উপজাতির মহিলাদের ১২০০ টাকা দেয়।” মমতার কথায়, মহারাষ্ট্র ২ মাস টাকা দেওয়ার পরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাংলার মতো পারিবারিক সুরক্ষা প্রকল্প কোথাও চালু নেই। ভারতের অন্য কোনও রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো মাসে মাসে টাকা দেওয়া হয় না, এমনই জানিয়েছেন মমতা। চারদিনের সফরে পাহাড়ে পৌঁছেছেন তিনি। দুপুরে বাগডোগরা বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন পাহাড়ের বিভিন্ন উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধিরা। বিমানবন্দর চত্বরে ভিড় জমিয়েছিলেন উৎসাহী পাহাড়বাসীরা। এরপর বাগডোগরা থেকে সড়কপথে মুখ্যমন্ত্রী রওনা দেন কার্শিয়াংয়ের রিচমন্ড হিলের উদ্দেশে।