উৎসবের আবহে আরও একবার রাজ্যবাসীকে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর গলায় শোনা গেল ঐক্য ও সমন্বয়ের সুর। বৃহস্পতিবার ছট পুজোর উদ্বোধনে গঙ্গার ঘাটে যান মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিধানসভা কেন্দ্র কলকাতা বন্দর এলাকার দু’টি ঘাটে যান তিনি। দইঘাট হয়ে যান তক্তাঘাটে। সেখান থেকেই উত্সবে সব ধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘‘সারা বাংলায় উৎসব পালন হচ্ছে। আমাদের বাংলায় একটা পরম্পরা যাচ্ছে সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে থেকে সব উত্সবকে আমরা পালন করি। আমাদের সরকার দু’দিনের ছুটি দেয়। আমরা কোনওদিন চাই না ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের ভাগ। আমরা সব ধর্মকে ভালবাসি। বিহারে এত ছট পুজো হয় না, যত ছট পুজো বাংলায় হয়। বাংলায় কেউ এই ভাগে প্ররোচনা দেয়। কিন্তু আমরা করতে চাই না। এটা ইন্ডিয়া’’, মঞ্চ থেকে বলেন তিনি।
পাশাপাশি, এদিন গঙ্গার ঘাটে এসে বর্তমান সরকারের অধীনে শতাধিক গঙ্গার ঘাট বানানোর প্রসঙ্গ তোলেন মমতা। বলেন, ‘‘বেলেঘাটাতে যে গান্ধী ভবন আছে সেটা ভাল করে বানিয়ে দিয়েছি। আমরা এখানে সব ঘাট পরিষ্কার করে রেখেছি। প্রশাসন সতর্ক আছে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে। নিমতলাতে গেলে দেখতে পাবেন সব কিছু নতুন করে তৈরী। ১২৬ টি ঘাট কলকাতায় বানিয়েছি। কারোর কথা শুনবেন না। বাংলায় যখন আছেন বাংলা আপনার ঘর। সাবধানে যাবেন। ছোট ছোট গ্রূপ করে যাবেন। একসাথে ১০ হাজার মানুষ ভিড় করবেন না। এর ফলে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যাবে।” গঙ্গাসাগরে পুজো প্রসঙ্গেও এদিন বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘‘আমিও ব্রত রেখেছি। আমার নামে গঙ্গাসাগরে পুজো হবে কাল সকালে। আমি আপনাদের সঙ্গেই আছি। যদি আমার উপর কোনরকম মনোমালিন্য থাকে তাহলে আমাকেই বলবেন, কোনভাবে ভুল বুঝবেন না আমায়”, বলেন মমতা।