জোরকদমে চলছে উপনির্বাচনের প্রচার। জনসংযোগে বিন্দুমাত্র ত্রুটি রাখতে নারাজ তৃণমূল প্রার্থীরা। ব্যক্তিক্রম নন তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ফাল্গুনি সিংহবাবুও। নির্বাচনের দিন যত এগোচ্ছে, তত প্রচারের গতি বাড়াচ্ছেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে ফাল্গুনির সমর্থনে বিশাল জনসভা হল বিবড়দা হাটতলা ময়দান প্রাঙ্গণে। দেখা গেল জনজোয়ার। ছিলেন রাজ্য যুব তৃণমূল সভানেত্রী তথা সাংসদ সায়নী ঘোষ, বাঁকুড়া জেলা পরিষদ সভাধিপতি অনসূয়া রায়, বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, রায়পুরের বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায়, বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা যুব সভাপতি সুব্রত দত্ত, জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অলকা মজুমদার, জেলা মহিলা তৃণমূল নেত্রী বিশ্বরূপা সেনগুপ্ত ও অন্যান্য নেতৃত্ব।
এদিনের প্রচার প্রসঙ্গে ইন্দপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি রেজাউল খানের দাবি, তিনি গৌরবাজার ও ব্রজরাজপুর থেকে এদিন ৫০০০ কর্মী নিয়ে জনসভায় যোগ দেন। মঞ্চ থেকে বিজেপি ও সিপিএমকে তীব্র কটাক্ষ করে সায়নী বলেন, “যেভাবে আমার মা-বোনেরা এসে এই জনসভায় যোগ দিয়েছেন, তাতে বিজেপি বুঝতে পেরে গিয়েছে। আর সিপিএমের লাল ঝান্ডা এখন আর দেখতে পাওয়া যায় না। সেটি দেখতে পাওয়া যায় বিভিন্ন দোকানে বিরিয়ানির হাঁড়িতে।” জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী প্রার্থী ফাল্গুনি। “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ আমি পেয়েছি। বিপুল মানুষের উপস্থিতি বুঝিয়ে দিচ্ছে, তৃণমূল জিতে গিয়েছে”, জানান তিনি।