বাংলার লগ্নি টানতে নতুন পদক্ষেপের পথে হাঁটল রাজ্য। শীঘ্রই নতুন নীতি আনছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বণিকসভা সিআইআই আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা জানিয়েছেন রাজ্য তথ্য-প্রযুক্তি দফতরের কর্তারা। প্রথমে খসড়া নীতি প্রকাশ করা হবে, যার উপর নিজেদের মতামত দিতে পারবে সংশ্লিষ্ট মহল। তারপরই নীতি চূড়ান্ত করা হবে। একইভাবে রাজ্য সরকার ‘গ্লোবাল ক্যাপাসিটি সেন্টার’ নীতি আনবে। মতামতের জন্য খসড়া প্রকাশ করা হবে এই নীতিরও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের নানা দেশে যে সংস্থাগুলি একযোগে ব্যবসা করে এবং একইসঙ্গে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়, সেই সংস্থাগুলি যাতে এখানে সুষ্ঠুভাবে ও সহজ শর্তে ব্যবসা করতে পারে, তারই সুবিধা করে দেবে ওই নীতি। এদিন তথ্য-প্রযুক্তি দফতরের কর্তারা দাবি করেছেন, আইটি’তে রাজ্যকে দেশের অন্যতম লগ্নির মুখ হিসেবে তুলে ধরতে সবরকমের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। বিদ্যুৎ, স্ট্যাম্প ডিউটি এবং রেজিস্ট্রেশন খরচে ১০০ শতাংশ ছাড়, সম্পত্তি করে ৫০ শতাংশ ছাড়ের মতো সুবিধা দেওয়া হচ্ছে সংস্থাগুলিকে।
পাশাপাশি, কর্মীদের কাজের সময় দিনে সাড়ে আট ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ন’ঘণ্টা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তা তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাগুলির মুনাফা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। পাশাপাশি ওই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পকর্তাদের নিয়ে একটি আলাদা মঞ্চ করতে চায় রাজ্য সরকার, যেখানে সরকারি প্রতিনিধিত্ব থাকবে। আলোচনার মাধ্যমে যেমন সেখানে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হবে, তেমনই কোনও বিষয়ে সরকার তাঁদের থেকে মতামত চাইবে। এদিনের অনুষ্ঠানে কগনিজেন্ট জানিয়েছে, তারা কলকাতায় আরও দু’হাজার নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে চায়। নিউটাউনে তাদের যে অফিস আছে, তা করোনোর পর থেকে কার্যত বন্ধ। কারণ, সেখানকার কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করছেন। সেই জায়গায় নতুন করে আরও দু’হাজার জনের কাজের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। তার পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে। পাশাপাশি অন্য একটি সংস্থা জানিয়েছে, তারা সিলিকন ভ্যালিতে স্মার্ট মিটার তৈরি করতে আগ্রহী। সেখানে দৈনিক এক হাজার মিটার তৈরির পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে।