কথায় আছে, ‘বারো মাসে তেরো পার্বণ’। যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে উৎসবপ্রিয় বাঙালি। বছরভর নিজেদের বিভিন্ন পরব-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি অন্যান্য সম্প্রদায়ের পার্বণগুলিতে সমানভাবে মেতে ওঠে তারা। ব্যতিক্রম নয় ছট পুজোও। রাজ্যের নানান ঘাটে ঘাটে মহাসমারোহে চলছে তার উদযাপন। পুরুলিয়া শহরের সাহেববাঁধের ঘাটগুলিতে ছটের অর্ঘ্যদানের জন্য সাফাই করেছে পুরসভা। বাঁধের পূর্বপাড়ে সূর্যমন্দির। সাহেববাঁধ পরিষ্কার করে দেওয়ার পাশাপাশি কংসাবতী নদীঘাটেও ছটের অর্ঘ্যদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলের অর্ঘ্যদানের পর ব্রতীরা বললেন, তৃণমূল আসার আগে এত ভাল ব্যবস্থা ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যারপরনাই ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, পুরুলিয়া জেলার সদর ছাড়াও ছট হয় ঝালদা, তুলিন, বলরামপুর, আদ্রা, নিতুড়িয়া এলাকায়। নিতুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শান্তিভূষণ প্রসাদ যাদব নিজে উদ্যোগ নিয়ে দামোদর নদে ছটের জন্য ঘাট তৈরি করিয়েছেন। নিরাপত্তার দিকটি দেখেছেন পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জেলার প্রতিটি ছটের অর্ঘ্যদানের ঘাট ঘুরে দেখেন। বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো জানান, তুলিনে সুবর্ণরেখা তীরে ছট হয়। মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনায় সেখানে মানুষ অর্ঘ্য দিয়েছেন। পুরুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান নবেন্দু মাহালি বলেন, শহরে প্রতিবছর ছটে ভিড় বাড়ছে। দু’বছর হল কংসাবতীতে অর্ঘ্যদানের ঘাট করা হয়েছে। দুটি জায়গাতেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। শুভেচ্ছা জানাতে দেওয়া হয়েছে প্রচুর হোর্ডিং।