৬৫ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ। আর তা উঠল খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামের অন্তর্গত বিজেপিশাসিত এক গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে! ৬৫। গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে এমন অভিযোগ সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জেলাস্তরের অডিট কমিটির রিপোর্টে ধরা পড়েছে চুরি। উক্ত পঞ্চায়েতের প্রধান আর সেই পঞ্চায়েতের এক্সেকিউটিভ অ্যাসিস্টেন্টের নাম জড়িয়েছে। বিজেপিশাসিত সামান্য এক গ্রাম পঞ্চায়েতে লক্ষ লক্ষ টাকা চুরি ঠেকাতে পারেন না যে বিরোধী দলনেতা, তিনি কীভাবে রাজ্য চালানোর স্বপ্ন দেখেন? এমন প্রশ্নই ধেয়ে আসছে শুভেন্দুর দিকে।
প্রসঙ্গত, গোকুলনগরেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিল তাঁরা ‘চোরমুক্ত পঞ্চায়েত’ উপহার দেবেন। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোকুলনগরে বিজেপি জয়ী হয়ে বোর্ড গঠনের এক বছরের মধ্যেই ওঠে লক্ষ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ সামনে চলে এল। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অডিট রিপোর্ট জেলাশাসকের কাছে জমা পড়েছে। তাতে উঠে এসেছে, গ্রাম পঞ্চায়েতে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ৫০ লক্ষ টাকা চুরি হয়েছে। অভিযোগ ছিল ৩৫ লক্ষ টাকা চুরির। সেই চুরি খুঁজতে গিয়ে আরও চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সব মিলিয়ে ৫০ লক্ষ টাকা চুরির ঘটনা ধরা পড়েছে। যদিও ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির বিক্ষুব্ধ জনপ্রতিনিধিদের দাবি, পঞ্চায়েতের তহবিলের টাকা তছরুপের ঘটনা ধরলে চুরি যাওয়া টাকার পরিমাণ ৬৫ লক্ষ টাকা। স্বাভাবিকভাবেই প্রবল অস্বস্তিতে পদ্ম-নেতৃত্ব।