বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশে ফের প্রকাশ্যে এল নির্মম পুলিশি অত্যাচারের চিত্র। কয়েকদিন আগেই আমরোহার নাগলি থানার লকআপে জল চেয়ে পর অ্যাসিড পেয়েছিলেন এক বন্দি! জনৈক মত্ত পুলিশকর্মী ওই ব্যক্তিকে সেই অ্যাসিড খেতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ উঠেছিল। আর এবার যোগীরাজ্যের নাসিরাবাদে এক নাটকের আয়োজককে থুতু চাটতে বাধ্য করল পুলিশ! নাসিরাবাদের কাপুরপুর গ্রামের প্রধানের এক প্রতিনিধি সুশীল শর্মা দীপাবলি উপলক্ষ্যে গ্রামে একটি নাটকের আয়োজন করেছিলেন, যার নাম ‘নৌটাঙ্কি’। প্রশাসনের কোনওরকমের অনুমতি না নিয়ে এই নাটকের আয়োজন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় থানার পুলিশ গভীর রাতে ওই গ্রামে পৌঁছে পুলিশ সুশীলকে অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলে। সুশীল যদিও নাটক বন্ধ করতে রাজি হননি। এরপরেই পুলিশ সুশীলশর্মা এবং তার সহযোগীদের আটক করে থানায় তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
নাটকের আয়োজক সুশীল শর্মা জানিয়েছেন, তাঁকে এবং তার চার সহকারীদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়। থানায় মেঝেতে তাঁকে তাঁর থুথু চাটতেও বাধ্য করে পুলিশ। গ্রামের প্রধান এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। শুধু তাই নয়, নাসিরাবাদের এসএইচও শিবকান্ত পান্ডে তাঁর কাছ থেকে ২ লক্ষ ঘুষ চান বলেও জানান তিনি। টাকা না দিলে কড়া মামলার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে পুলিশের তরফে তাদের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এই ঘটনায় শনিবার গ্রাম প্রধান পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। রায়বেরেলির পুলিশ সুপার যশবীর সিং এই মর্মে বলেছেন, স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি তদন্ত করা হবে। দোষী প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল ছড়িয়ে এলাকাজুড়ে। বারবার এমন ঘটনার কারণে যোগী প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলেছে সাধারণ মানুষ।