আরও একবার বড়সড় বিতর্কের কেন্দ্রে ‘ডবল ইঞ্জিন’ গুজরাট। খোদ প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যেই পড়ল বুলেট ট্রেনের জন্য নির্মীয়মাণ সেতু! সেখানে এখনও আটকে রয়েছেন বহু মানুষ। ঘটনাটি গুজরাটের আনন্দের। গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে মহারাষ্ট্রের মুম্বই পর্যন্ত চলবে ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন। চলছে সেই কাজ। মঙ্গলবার হঠাৎই ভেঙে পড়ল বুলেট ট্রেন প্রকল্পের একটি নির্মীয়মাণ সেতু। গুজরাটের আনন্দের কাছে এই সেতু ভেঙে পড়েছে। তলায় বহু মানুষ আটকে পড়েছেন বলে মনে করা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তরফে খবর, ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই আনন্দ পুলিশ ও দমকল কর্মীরা পৌঁছে গিয়েছেন। শুরু হয়েছে উদ্ধার অভিযান। বহু মানুষের হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অন্তত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে রয়েছেন। বিকেল ৫টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, সেই বিষয়টি যদিও এখনও স্পষ্ট নয়। আজ সন্ধ্যাবেলায় এই ঘটনার ফলে মাহি নদীর উপরে, বুলেট ট্রেন প্রকল্পের নির্মাণস্থলে কংক্রিটের ব্লকের মধ্যে আটকে যান তিনজন শ্রমিক।
এক্সকেভেটর মেশিন ও ক্রেন দিয়ে ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়া মানুষদের উদ্ধার করা হচ্ছে। দুই শ্রমিক মারা গেলেও এক শ্রমিককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। ঘটনায় গুজরাতে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। “গুজরাটের আনন্দে ভেঙ্গে পড়ল বুলেট ট্রেনের জন্য নির্মীয়মান সেতু। বহু লোকের চাপা পড়ার আশঙ্কা। ২০১৬ সালে কলকাতার পোস্তায় যখন উড়ালপুল ভেঙে পড়েছিল, নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনী সভা করতে এসে বলেছিলেন, ‘এটা অ্যাক্ট অফ গড নয়। অ্যাক্ট অফ ফ্রড…’ আজও একই কথা বলবেন তো প্রধানমন্ত্রী? কত টাকা কাটমানি খেয়ে আপনার নেতারা বুলেট ট্রেনের ব্রিজ বানাচ্ছিল? ট্রেন শুরু হওয়ার আগেই ব্রিজ ভেঙে পড়ছে! এরপর যখন দুরন্ত গতি নিয়েই নড়বড়ে ব্রিজগুলোর উপর দিয়ে ট্রেন ছুটবে, তখন তো হাজার হাজার মানুষের প্রাণ সংশয় হয়ে দাঁড়াবে! কে দায় নেবে তার?”, নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে লেখেন তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য।