ইতিমধ্যেই কলকাতার পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজে কেন্দ্রীয়ভাবে রোগী রেফার করার ব্যবস্থা বা সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম কার্যকর করেছে রাজ্য সরকার। এবার সারা রাজ্যজুড়েই চালু হতে চলেছে এই বন্দোবস্ত। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির জন্য সব জেলার জেলাশাসক ও জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছ থেকে সুস্পষ্ট প্রস্তাব চেয়েছে রাজ্য দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এই নতুন ব্যবস্থার পাইলট প্রকল্পের সাফল্যের উপর ভিত্তি করে সারা রাজ্যে এই ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন ব্যবস্থা চালু করার আগে জেলার হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো ঢেলে সাজানো হবে। জাতীয় অর্থ মিশনের টাকা ব্যবহার করে এর পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ হবে। জেলা, মহকুমা হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির পরিকাঠামোর উন্নতিসাধনে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
পাশাপাশি, এইসব হাসপাতালে যাতে সর্বক্ষণ চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা থাকেন, সেজন্য আবাসন তৈরির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য। দূরবর্তী জেলার কোনও রোগীকে চিকিৎসার জন্য খুব কঠিন পরিস্থিতি ছাড়া সরাসরি কলকাতার কোনও হাসপাতালে রেফার না করে তাঁদের মহকুমা হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল বা জেলায় থাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হবে। এজন্য জেলার সব হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি অপারেশন থিয়েটার, হাসপাতালে লিফট, চিকিৎসকদের বিশ্রাম কক্ষ, শৌচালয়, বিশুদ্ধ পানীয় জল, পর্যাপ্ত আলোর সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেশ করতে বলা হয়েছে। এইসব হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও মেডিক্যাল অফিসারদের বসার উপযুক্ত রুমের প্রস্তাবও পাঠাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা, মহকুমা হাসপাতাল বা কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে মা ও শিশুদের চিকিৎসার পরিকাঠামো বিশেষ করে সদ্যোজাত শিশুদের জন্য ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট না থাকলে তৈরির প্রস্তাবও দিতে বলেছে রাজ্য। এক্ষেত্রে কমিউনিটি হেলথ সেন্টারগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে। জেলাশাসক ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দিষ্ট ফর্মা তৈরি করে দিয়েছে রাজ্য।