রাজ্যবাসীর ভরসাস্থল সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে গরিব মানুষদের মাথার উপর ছাদ তৈরি করে দিচ্ছে তাঁর সরকারই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলায় আবাসের বাড়ির জন্য কোনও টাকা দেয়নি কেন্দ্র৷ বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি৷ এমনকী এ বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের চ্যালেঞ্জ জানালেও তা গ্রহণ করতে পারেনি কেন্দ্র৷ গত ১১ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার এ-রাজ্যে গরিব মানুষদের ৫০ লক্ষ বাড়ি তৈরি করে দিয়েছে৷ আরও ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কেন্দ্রীয় সরকারের টানা আর্থিক বঞ্চনা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার গরিব মানুষের মাথার উপর ছাদ তৈরি করে দিতে তৎপর।
উল্লেখ্য, বাংলায় এসে প্রধানমন্ত্রী আবাসের বাড়ি-সহ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়ে বিকৃত তথ্য ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন৷ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অর্ধেক টাকা রাজ্য সরকার দেয়৷ কিন্তু এর পুরো কৃতিত্ব নিতে চান প্রধানমন্ত্রী নিজে৷ শুধু তাই নয়, আয়ুষ্মান ভারতে নানাবিধ উদ্ভট নির্দেশিকার ফলে সকলে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন না৷ তাই বাংলায় এই প্রকল্পটি গ্রহণযোগ্যতা পায়নি৷ সবদিক খতিয়ে দেখেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের জন্য চিকিৎসা ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবস্থা করেছেন৷ যেখানে সব শ্রেণির সব বয়সের মানুষই বিনা খরচে চিকিৎসা করাতে পারেন৷ একাধিকবার বাংলার প্রাপ্য নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তদ্বির করেছেন৷ ধরনা, আন্দোলন করেছেন৷ তাতেও কোনও কাজ হয়নি৷ ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পায়নি বাংলা৷ ১০০ দিনের কাজের টাকা শ্রমিকদের মিটিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ আবাসের টাকাও দেবে রাজ্য সরকারই৷ গত ৪ বছরে বাংলা থেকে ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকা করবাবদ তুলে নিয়ে গিয়েছে কেন্দ্র৷ অথচ বাংলাকে তার প্রাপ্য মেটানো হয়নি৷ কিন্তু এই প্রবল আর্থিক বঞ্চনা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের জন্য জনমুখী প্রকল্পগুলির একটিও বন্ধ করেননি৷ বন্যা ও ঘূর্ণিঘড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ শস্যবিমা পাওয়ার থেকে একজন কৃষকও যাতে বঞ্চিত না হন, তা সুনিশ্চিত করেছেন তিনিই।