স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আরও একবার প্রকাশ্যে এল বাংলার সাফল্যের নজির। প্রসঙ্গত, সম্প্রতিই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ হেপাটাইটিস সংক্রমণ নিয়ে ভারতকে সতর্ক করেছে। সংস্থার তরফে জানানো হয়, সংক্রমক ব্যধি হিসেবে হেপাটাইটিস সংক্রমণ সারা বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান গ্রহণ করেছে। চলতি বছরেই হু’র হিসেবে অনুযায়ী, সারা বিশ্বে প্রতিদিন ৩৫০০ জন মানুষ হেপাটাইটিস ভাইরাসের শিকার হচ্ছেন। হেপাটাইটিস বি ও হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে মৃত্যু হচ্ছে রোগীদের। এই অবস্থায় হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধে বাংলায় অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে। জাতীয় এক সমীক্ষাতে এই তথ্য সামনে আসায় রাজ্যের মুকুটে জুড়ল নতুন পালক। মঙ্গলবার নবান্নের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে এই বিষয়ে আলোকপাত করে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত সকল কর্মীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী। “অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে আমি আপনাদের জানাতে চাই যে আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। একটি সাম্প্রতিক জাতীয় সমীক্ষায় এটা উল্লেখযোগ্যভাবে ধরা পড়েছে। ২০২২ সাল থেকে রাজ্য সরকার প্রসূতি মা ও সদ্যোজাতদের মধ্যে হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধে বিপুলভাবে টীকাকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি ভারতবর্ষে প্রথমবার National Viral Hepatitis Control Programme আমাদের রাজ্যে ৫ বছরের নীচের শিশুদের মধ্যে হেপাটাইটিস বি এর সংক্রমণ পরিসংখ্যান জানার জন্য বিশদ সমীক্ষা করে। দেখা গেছে, এই সমীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গের ফল খুব ভালো। হেপাটাইটিস বি নিয়ন্ত্রণের এর বৈধতার মানদণ্ড হল WHO দ্বারা নির্ধারিত ০.১% এর কম/ সম সংক্রমনের ব্যাপকতার হার।সাম্প্রতিক জাতীয় সমীক্ষায় দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমণের ব্যাপকতার হার ০.০৭%,যা রাজ্যের হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধে দৃঢ় পদক্ষেপের সার্থকতা ইঙ্গিত করে। প্রত্যাশিত মাত্রার চেয়ে আমাদের সাফল্য বেশি ভালো। আগামীদিনে এই কর্মসূচি আরও দৃঢ়ভাবে পালন করা হবে যাতে রাজ্যে এর প্রাদুর্ভাব নির্মূল হয়। আমি এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সকলকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই”, জানিয়েছেন তিনি।