ফের বিতর্কের কেন্দ্রে দেশের স্বরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। সামনেই উপনির্বাচন বাংলায়। তার ঠিক আগে এ রাজ্যে এসে সরকারি মঞ্চ থেকে তিনি উদ্দেশপ্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক বার্তা দিয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙেছেন, এই মর্মেই নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। সেই চিঠিতে লেখা হয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি ভেঙেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধিক্কার জানিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তুলেছে তৃণমূল।
বাংলা সফরে এসে ২৭ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইন্টিগ্রেটেড চেক পয়েন্ট, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও পেট্রাপোলে মৈত্রীদ্বার উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, ‘মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট’ লাগু থাকা সত্ত্বেও পেট্রাপোলের এই কর্মসূচি থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙেছেন অমিত শাহ। তৃণমূল জানিয়েছে, বাংলার মানুষ সব চালাকি বোঝে। তাই যতই সরকারি মঞ্চ থেকে নির্বাচনী প্রচার চালান না কেন, এই নির্বাচনেও খালি হাতে ফিরতে হবে বিজেপিকে! তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি করছি। নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণবিধি লাগু থাকা সত্ত্বেও সরকারি অনুষ্ঠান করে এবং সেই সরকারি মঞ্চ থেকে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টার্গেট করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ধিক্কার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।” তৃণমূলের বক্তব্য, হরিয়ানা থেকে মণিপুর, বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার চলছে যেসব রাজ্যে সেইসব রাজ্য হিংসায় জ্বলছে। সাম্প্রদায়িক হানাহানিতে জর্জরিত মানুষ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তা দেখতে পান না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে সরকারি মঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবমাননার জন্য তিনি নানা রাজনৈতিক মন্তব্য করেছেন। সরকারি কর্মসূচি আর রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে কোনও ফারাক রাখেননি তিনি। তাঁকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হোক এবং তদন্ত হোক, এমনই দাবি করেছে ঘাসফুল শিবির।