Cyclone Dana ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। আজ রাতেই ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা রয়েছে এই সাইক্লোনের। ঝড়ের মোকাবিলার একদিন আগে থেকেই প্রস্ততি নিয়েছিল রাজ্য। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত খোঁজখবর নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিলেন, রাতভর নবান্নে থেকেই তিনি গোটা দুর্যোগের মনিটরিং করবেন। বললেন, “সবচেয়ে দামি মানুষের জীবন। সেখানে যেন কারও সমস্যা না হয়। রাতভর নবান্নে থেকেই সেটা পর্যবেক্ষণ করব। যখনই ঝড়ের ল্যান্ডফল হোক না কেন, আমরা তৈরি। কেউ কেউ বলছে ওড়িশার ধামরার দিকে যাবে, এদিকে ততটা প্রভাব পড়বে না। তবে এটা ঠিক তথ্য নয়।” রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগের মোকাবিলায় প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা জেলায় জেলায় রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টার জন্য নবান্নে হেল্পলাইন নম্বর (০৩৩) ২২১৪৩৫২৬ চালু করা হয়েছে। যেকোনও ধরনের সমস্যায় যে কেউ ফোন করতে পারেন। তবে এই বিষয়ে কেউ যেন গুজব না ছড়ান, এ বিষয়েও সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় মোট ৮৫১টি ক্যাম্প খোলা হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন ৮৩ হাজার ৫৮৩ জন। উপকূলবর্তী এলাকাতে নজর রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও মানুষকে ক্যাম্পে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করবে রাজ্য।
Read More: ‘ডানা’র মোকাবিলায় প্রস্তুত কলকাতা পুরসভা – চালু হল ডব্লিউবিএসইডিসিএল, সিইএসসি’র হেল্পলাইন নম্বর
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে নবান্নের নির্দেশে মঙ্গলবার থেকেই সাত জেলায় রয়েছেন বিভিন্ন দফতরের সচিবেরা। দুর্যোগের মোকাবিলায় নবান্নের পাশাপাশি জেলাগুলিতেও ২৪ ঘণ্টার জন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এই মুহূর্তে পারাদ্বীপ থেকে ১৮০ কিলোমিটার, ধামারা থেকে ২১০ কিলোমিটার ও সাগরদ্বীপ থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে এটি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই ওড়িশা উপকূলে ল্যান্ডফল করবে। ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামারার কাছে ল্যান্ড ফল করার প্রবল সম্ভাবনা। পুরী থেকে সাগরদ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত হবে এর প্রভাব। ল্যান্ডফলের সময় ঘণ্টায় এর গতিবেগ সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার হতে পারে। হাওয়া অফিস সূত্রের দাবি, ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে পূর্ব মেদিনীপুরে। ল্যান্ডফলের সময় দিঘা, মন্দারমনি-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ১০০ থেকে ১২০ কিমি। তীব্র জলোচ্ছ্বাস দেখা যেতে পারে সমুদ্রে। ল্যান্ডফলের সময় দিঘায় জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ১ থেকে ২ মিটার হতে পারে। একইভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলে দশমিক ৫ থেকে ১ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। বন্দরগুলিতে জারি করা হয়েছে হাই-অ্যালার্ট।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1849423797449027880