রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই বাংলাবাসীর জন্য একাধিক জনমুখী প্রকল্প চালু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালক্রমে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে সেগুলি। এদের মধ্যে অন্যতম হল ‘স্বাস্থ্যসাথী’। ক্রমশই জনসাধারণের ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে এই প্রকল্প। এবার আরও একজন নতুন জীবন পেলেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সৌজন্যে। আসানসোলের ডিসেরগড়ের যুবক পার্থ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘ দিন ধরে কিডনির অসুখে ভুগছিলেন। দুর্গাপুরের হাসপাতালে দেখাতে এলে তাঁরা কিডনি প্রতিস্থাপনের কথা বলেন। কিন্তু তাদের উপর ভরসা না করে যুবক ও তার পরিবার দক্ষিণ ভারতে যান চিকিৎসার জন্য। সেখানেও কিডনি প্রতিস্থাপনে বিপুল খরচের কথা জানানোয় তারা ফিরে আসতে বাধ্য হন।
এরপর ফের দুর্গাপুরের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন। ঠিক হয়, সেখানেই হবে অস্ত্রোপচার। পার্থর বাবা উজ্জ্বল একটি কিডনি দেন। সেই কিডনিই জটিল অস্ত্রোপচারের পর সফলভাবে প্রতিস্থাপিত হয় গত ১৫ সেপ্টেম্বর। তারপর দীর্ঘ চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা জানান, পার্থ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারবেন। ছেলে নতুন জীবন পাওয়ায় যারপরনাই খুশি বাবা উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।