আর জি কর কাণ্ডের পর থেকেই বরাবরই আন্দোলনকারীদের প্রতি সহানুভূতি ও সংবেদনশীল মনোভাব পোষণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্নেহপ্রবণ অভিভাবকের মতোই ভূমিকা পালন করছেন তিনি। অধিকাংশ চিকিৎসকই মুখ্যমন্ত্রীর এহেন আচরণে মুগ্ধ। তবে ঘোলা জলে মাছ ধরতে এখনও তক্কে তক্কে রয়েছে বাম-অতিবাম ও বিজেপি। রবিবার এ-প্রসঙ্গে রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপি আর অতিবাম নেতাদের উসকানিতে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ মিথ্যা ন্যারেটিভ তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রীর আসা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের যথেষ্ট স্নেহ করেন। মুখ্যমন্ত্রী সংবেদনশীল এবং ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। তাই কোনওরকম রাজনৈতিক প্ররোচনের ফাঁদে পা না দিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে অনশন প্রত্যাহার করে সোমবার বৈঠকে যোগ দিন।”
পাশাপাশি, এদিন ফের তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের দশ দফা দাবির পাল্টা দুটি অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তাঁর কথায়, “দশ দফা দাবি যেমন থাকছে, তেমনই দুই অভিযোগও উঠছে। এক, স্বাস্থ্য দফতরে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন টেন্ডারে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। দুই, একাংশ চিকিৎসক প্রেসক্রিপশন থেকে যে দুর্নীতি করেন, সেটাও বন্ধ করতে হবে। ওষুধ কোম্পানির স্বার্থে ওষুধ কোম্পানির থেকে কমিশন ও কাটমানি নিয়ে বিদেশ ভ্রমণের জন্য দামি ওষুধ লেখা, কারণে-অকারণে ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করতে পাঠিয়ে কমিশন খাওয়া। দরকারে, অ-দরকারে বিভিন্ন দামি কোম্পানির পেসমেকার এবং সরঞ্জাম কিনে সেখানে কমিশন খাওয়া সেগুলোও আপনারা বন্ধ করুন।” এখানেইথ।থেমে থাকেননি কুণাল। “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলাস্তরের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করে পরিকাঠামো অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন। সেখানেও অভিযোগ উঠছে, বেশকিছু চিকিৎসক সপ্তাহে দু’দিন-তিনদিন নানারকম কৌশলে ডিউটি রোস্টার করে কলকাতায় এসে প্রাইভেট হাসপাতালে কাজ করছেন। এই রকম চিকিৎসকদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে জমা দিন। আর যাঁরা সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা দিচ্ছেন তাঁদের বুক দিয়ে আগলে রাখুন”, স্পষ্ট বার্তা কুণালের।