আসন্ন উপনির্বাচন দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে কমিশন। নভেম্বরে রাজ্যের ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ। আর মাদারিহাট উপনির্বাচন ঘোষণা হতেই অস্বস্তি মাথাচাড়া দিয়েছে পদ্মশিবির। হারের ভয় তাড়া করছে তাদের। ব্যক্তিকেন্দ্রিক দলীয় সংগঠনের কারণেই এই অবস্থা বিজেপির, এমনটাই মনে করছেন দলের নিচু স্তরের নেতা-কর্মীরা। মনোজ টিগ্গা বিধায়ক ছিলেন দীর্ঘ আট বছর। বর্তমানে তিনি সাংসদ। তাই তৃণমূল স্তরে সংগঠন মজবুত করার কাজে অনেক ত্রুটিবিচ্যুতি থেকে গেছে। এর পাশাপাশি তার তাঁর বিধানসভা এলাকায় বিকল্প কোনও নেতা তৈরি হয়নি। ফলত বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী খুঁজতে গিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলছে বিজেপি-নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, প্রার্থীপদের জন্য অনেক আবেদন জমা পড়লেও যোগ্য প্রার্থীর অভাব স্পষ্ট। যে কারণে কুমারগ্রাম থেকে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা দশরথ তিরকের নামও প্রার্থীতালিকায় জয়গা পেয়েছে। এ ছাড়াও বিগত নির্বাচনগুলোতে একে একে জনসমর্থন কমার আভাস পরিষ্কার। একুশের বিধানসভায় যেখানে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে ভোটের ব্যবধান ছিল প্রায় কুড়ি শতাংশ, সেখানে চব্বিশের লোকসভায় তৃণমূল সেই ব্যবধান কমিয়ে একেবারে কার্যত নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপির কাঁধে। আর এই কারণেই পরাজয়ের সিঁদুরে মেঘ দেখছে গেরুয়া-নেতৃত্ব।