মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বারবার বেআব্রু হয়েছে রেলের অব্যবস্থার চিত্র। ট্রেনের দেরি করে পৌঁছনো বা প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা প্রায় দৈনন্দিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। একের পর এক আসছে পরিষেবা সংক্রান্ত অভিযোগ। এবার রেলের চরম অব্যবস্থার জন্য নাজেহাল মহিলা কর্মীরা। এক নাগাড়ে কয়েক ঘন্টা দাঁড়িয়ে নিজের কর্তব্য পালন করছেন মহিলা চালকরা। কিন্তু তার বদলে নেই ন্যূনতম সঠিক সুষ্ঠু পরিষেবা। নেই শৌচাগার, পানীয় জল, ফ্যান। ১০-১২ ঘণ্টা ইঞ্জিন রুমে থাকতে হয় তাঁদের। এমন এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করার ফলে রীতিমত ক্ষুব্ধ এক্সপ্রেস কিংবা মালগাড়ির মহিলা লোকো পাইলটরা। শৌচালয়ের ব্যবস্থা না-থাকায় মহিলাদের মধ্যে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই) বাড়ছে। প্রকাশ্যে এসেছে গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে মিসক্যারেজের ঘটনাও।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই অল ইন্ডিয়া রেলওয়েমেন ফেডারেশন মহিলাদের এই সমস্যার কথা জানিয়ে রেল বোর্ডকে দিয়েছে। কিন্তু অদ্ভুত যুক্তি দিচ্ছেন রেলের আধিকারিকেরা। তাঁদের দাবি, একটা সময় পর্যন্ত রেলের লোকো পাইলটের চাকরি পুরুষরাই করতেন। গত এক দশকে লোকো পাইলট বা অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটের ডিউটিতে মহিলাদের সংখ্যা বেড়েছে। তবে তাঁদের জন্য আলাদা পরিকাঠামো তৈরি হয়নি এখনও। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে ব্যাখ্যায় কোন সুরাহাসূত্র আসবে বলে মনে করছে না সংশ্লিষ্ট মহল। তিনি বলেন, লোকো পাইলট এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটদের ইঞ্জিন রুমে থাকতে হয়। জায়গাটা ছোট, তাই সেখানে শৌচাগার নেই। এঁদের ডিউটির সময়েরও কোনও ঠিক থাকে না। তাই সমস্যা হচ্ছে। যদিও মহিলা লোকো পাইলটদের নিরাপত্তা নিয়ে রেলবোর্ডের কাছে নিজেদের দাবি জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া রেলওয়েমেন ফেডারেশন। স্বাভাবিকভাবেই এহেন দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ও উদাসীনতার কারণে আরও একবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে মোদীর রেলমন্ত্রক।