নামমাত্র বিধিনিষেধ। নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চোরাপথে রমরমিয়ে চলছে মদের কারবার। আর সবটা হচ্ছে সরকারি মদতেই! বিজেপি-নীতীশের বিহারের ২ জেলায় বিষাক্ত মদ ফের প্রাণ কাড়ল ৬ জনের। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও অন্তত ১০ জন। এরমধ্যে ৫ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন হাসপাতালে। গ্রামবাসীদের মতে অবশ্য মৃতের সংখ্যা অন্তত ১২। এই ঘটনার জন্য রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ দায়ী করেছে প্রশাসনের অকর্মণ্যতাকেই। নিন্দার ঝড় উঠেছে সারা রাজ্যজুড়ে। অভিযোগ, রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য নীতীশ কুমার বিহারে মদ নিষিদ্ধ করলেও এ-ব্যাপারে বিন্দুমাত্র নজরদারির উদ্যোগ নেই রাজ্য সরকারের। আসলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার অজুহাতে এই নিষেধাজ্ঞাকে সামনে রেখে শুধুই প্রশংসা কুড়োতে ব্যস্ত প্রশাসন। কিন্তু কোথাও সরকারি উদাসীনতায়, কোথাও বা আবার সরকারি কর্তাদের প্রশ্রয়ে মদের চোরাকারবারিদের দাপট ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
এই ঘটনা ঘটেছে বিহারের সরন ও সিওয়ান জেলায়। প্রথম খবর আসে সরনের ইব্রাহিমপুর গ্রাম থেকে। মদ খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন ৩ গ্রামবাসী। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় একজনের। দু-জনকে দ্রুত ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এরপরেই জানা যায়, সিওয়ানে মদপান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৩ জন। দু-জায়গা মিলিয়ে মৃত ৬ জনেরই বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছর। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের ধারণা, মৃত্যু এবং অসুস্থতার কারণ মদে বিষক্রিয়া। উল্লেখ্য, বিহারকে নেশামুক্ত করার কথা বলে ২০১৬ সালে রাজ্যে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। কিন্তু সুরাহা কিছুই হল না বাস্তবে। বরং বহুগুণ বেড়ে গেল দেশি মদের চোরাকারবার। বাজার জুড়ে চোলাইয়ের দৌরাত্ম্য। কার্যত নীরব দর্শক প্রশাসন। বিষাক্ত মদে মৃত্যু প্রায় দৈনন্দিন ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিহারে।