দীর্ঘ ৬ বছর পরে জম্মু-কাশ্মীর উপত্যকা থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করা হয়েছে৷ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী পেল জম্মু ও কাশ্মীর। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বুধবার শপথ নিলেন ওমর আবদুল্লা। শ্রীনগরে শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে আজ হল শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা তাঁকে এদিন শপথবাক্য পাঠ করান। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হলেন ওমর আবদুল্লা। আবদুল্লা পরিবারের ওমর তৃতীয় প্রজন্মের মুখ্যমন্ত্রী। আজ তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথগ্রহণ করেছেন জাভেদ রানা, শকিনা ইটু, জাভেদ দর, সুরিন্দর চৌধুরী, সতীশ শর্মা। তবে কংগ্রেস ওমর আবদুল্লার মন্ত্রিসভায় যোগ দেয়নি। ন্যাশনাল কনফারেন্সের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, হেমন্ত সোরেন, এমকে স্ট্যালিন, ভগবন্ত মান, অরবিন্দ কেজরীবাল, শরদ পওয়ার, লালু প্রসাদ যাদব, অখিলেশ যাদব সহ ইন্ডিয়া জোটের প্রমুখ নেতাদের।
প্রসঙ্গত, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারলেও সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন শুভেচ্ছাবার্তা। তিনি লেখেন, “আমি জনাব ওমর আবদুল্লাহকে অভিনন্দন জানাই। আজ তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন। রাজ্যে এটি তাঁর দ্বিতীয় কার্যকাল, কিন্তু আজকের এই মুহূর্ত ঐতিহাসিক। আমি নির্বাচনের মাধ্যমে তার বিজয়ী প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানাই। এই জয় যে প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্রের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব তা প্রমাণের অপেক্ষা রাখে না। আমি এই উৎসবের প্রকৃত ভাগীদারদের অভিনন্দন জানাই যারা হলেন জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ।” জম্মু ও কাশ্মীরে এক দশক পর নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেসের জোট। এবারের নির্বাচনে ৯০ সদস্য বিশিষ্ট জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোট ৪৮টি আসনে জিতেছে। ৪২টি আসনে জয়ী ন্যাশনাল কনফারেন্স, কংগ্রেস জয়ী ৬টিতে। আর ৩টি আসনে জয়ী হয়েছে পিডিপি।