দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে ফের শুরু ভোটের তোড়জোড়। আগামী নভেম্বরেই ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল। মাদারিহাট থেকে সিতাই, নৈহাটি থেকে হাড়োয়া, মেদিনীপুর থেকে তালড্যাংরা, সর্বত্র চলছে তৎপরতা। বুধবারই মাদারিহাট কেন্দ্রের জন্য প্রস্তুতি-বৈঠক সেরে ফেললেন আলিপুরদুয়ার জেলা নেতৃত্ব। আগামী কাল থেকে কোচবিহারে সিতাই কেন্দ্রের জন্য টানা সাংগঠনিক বৈঠক-সভা হবে। এ ছাড়াও মেদিনীপুর ও বাঁকুড়াতেও মাঠে নামছে দল। উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে দলীয় প্রার্থীরা জিতবেন, এই আত্মবিশ্বাস রয়েছে ঘাসফুল নেতৃত্বের। আগামী ১৩ নভেম্বরের উপনির্বাচনে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ দল। বুধবার আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশচিক বরাইকের নেতৃত্বে এক প্রস্তুতি-বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন সমস্ত জেলা নেতৃত্ব। এই বৈঠকে কীভাবে এই উপনির্বাচন লড়া হবে তার রূপরেখা ঠিক করা হয়। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ২০ তারিখ মাদারিহাট বিধানসভা এলাকার মোট ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রতিটিতে একজন করে জেলা নেতা গিয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করবেন। তবে ইতিমধ্যেই বুথভিত্তিক বৈঠক স্থানীয়স্তরে চলছে বলে জানিয়েছেন মাদারিহাট ব্লক তৃণমূল সভাপতি জয়প্রকাশ টোপ্পো। পাশাপাশি দেওয়াল লিখন থেকে শুরু করে রাস্তার কর্মসূচি লক্ষ্মীপুজো মিটলেই শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। মেদিনীপুরেও প্রস্তুতি চলছে একইভাবে।
প্রসঙ্গত, প্রার্থী নিয়ে কৌতূহল থাকায় বাকি পাঁচ কেন্দ্রের মতো মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরার স্পষ্ট বক্তব্য, “প্রার্থী কে হবেন সেই সিদ্ধান্ত নেবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপনির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি।” জুন মালিয়া সাংসদ হয়ে যাওয়ায় এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। অন্যদিকে, বাঁকুড়া লোকসভার সাংসদ তথা বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী জানান, তালড্যাংরা বিধানসভার উপ-নির্বাচন নিয়ে আগামী কাল বৃহস্পতিবার জরুরি ভিত্তিতে জেলা কমিটির বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হবে। প্রস্তুতি চরমে উত্তর চব্বিশ পরগনার দুই কেন্দ্র নৈহাটি ও হাড়োয়াতেও। ব্যারাকপুরের নবনির্বাচিত সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেন, “দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কবে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন আমরা সেই অপেক্ষায় আছি। দলগতভাবে আমরা ভোটে লড়াইয়ে জন্য প্রস্তুত। নৈহাটি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।” জেলার সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী জানান, “হাড়োয়ায় জয়ের ব্যাপারে আমরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। দল প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেই সকলে মিলে আমরা ভোটযুদ্ধে নেমে যাব। এখন বুথস্তরের কর্মীদের বলা হয়েছে দেওয়াল চুন করতে। তৃণমূল কর্মীরা প্রস্তুত আছেন।” বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন প্রয়াত হাজি নুরুল। এই কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হবে। তবে এই কেন্দ্র নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ফলত এখনই সেখানে হবে না ভোট।