ক্ষমতায় আসার পর দেখেই ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বাংলার প্রতি বঞ্চনা অব্যাহত রেখেছে মোদী সরকার। এর মধ্যেই নতুন জল্পনার সূত্রপাত হল। এবার কি গোটা ভারতেই বন্ধ হতে চলেছে মনরেগা? ঘনীভূত আশঙ্কা। সৌজন্যে নীতি আয়োগ। দেশে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের প্রভাব নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে একটি সমীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে নীতি আয়োগ। প্রান্তিক মানুষের কাজের নিশ্চয়তা এখন সংশয়ে। সূত্রের খবর, প্রকল্পটি মানুষের জীবনকে কীভাবে প্রভাবিত করছে, তা খতিয়ে দেখা হবে সমীক্ষায়। সমীক্ষার রিপোর্ট যদি নেতিবাচক হয়, তাহলে কী সুপারিশ করবে নীতি আয়োগ? সুপারিশকে মেনে কি ১০০ দিনের কাজ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার পথে হাঁটবে মোদী সরকার? উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, বিগত ২০০৬ সালে মনমোহন সিংয়ের সরকার এই প্রকল্প চালু করেছিল। ২০২১-২২ অর্থবর্ষ থেকে এই খাতের মোট খরচ কমতে শুরু করেছে। এবার প্রকল্প চালিয়ে যাওয়া হবে কি-না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “বাংলার প্রান্তিক মানুষের হাতে নগদের জোগান নিশ্চিত করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনরেগার বরাদ্দ দীর্ঘদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র। তাই রাজ্যের কোষাগার থেকে টাকা দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী চালু করেছেন কর্মশ্রী প্রকল্প। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের হাতে নগদের জোগান নিশ্চিত করায় কোভিডকালে রক্ষা পেয়েছিল বাংলার মানুষ। কিন্তু এর ঠিক উল্টো পথে হাঁটেন আমাদের মোদিবাবু। ফলে সমীক্ষা করে প্রকল্পটি পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে যখন এই খাতের বরাদ্দ তথা মোট খরচ আগের থেকে অনেকটাই কমে গিয়েছে বিজেপি জমানায়।” ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজে সারা দেশে মোট খরচ হয়েছিল ১ লক্ষ ১১ হাজার কোটি টাকা। পরের অর্থ বছরেই তা কমে দাঁড়ায় ৯৮ হাজার ৪৬৭ কোটিতে। পরবর্তী দু’বছরে তা ১ লক্ষ ১১ হাজার কোটির ধারেকাছে যায়নি। ২০২২-২৩ সালে খরচ ছিল মোট বাজেটের মাত্র ১.৭৮ শতাংশ, যা গত ১০ বছরে সর্বনিম্ন। এই প্রকল্প সচল রাখতে মোদী সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে সন্দিহান একাধিক মহল।