আরও একবার আর্থিক দুর্নীতির প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠল বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশে। যোগীরাজ্যে সমাজকল্যাণ প্রকল্পের টাকা নিয়েও চলছে দেদার নয়ছয়। নজরদারির লেশমাত্র নেই। নববিবাহিত দম্পতিদের জন্য রাজ্যের বরাদ্দ ৩৫,০০০টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য এবার বোনকেই বিয়ে করলেন ভাই! অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে। প্রতারণার মাত্রাটা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে সরকারি সুযোগের লোভে বহু বিবাহিত পুরুষ-মহিলাই নতুন করে আবদ্ধ হয়েছেন পরিণয়সূত্রে। এহেন দুর্নীতি দেখে স্তম্ভিত রাজনৈতিক মহল। অবিলম্বে এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছে বিরোধীরা। রাজ্য সরকারের একাংশের মদতেই কি এমন প্রতারণার প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে? নাকি সব জেনেশুনেও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে প্রশাসন? উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী সামুহিক বিবাহ যোজনায় প্রত্যেক নবদম্পতির অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে ৩৫,০০০টাকা। বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে দেওয়া হয় নগদ ১০,০০০টাকা এবং বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য দেওয়া হয় ৬০০০টাকা। সাধারণত অর্থনৈতিক অনগ্রসর বর-কণেরাই এই প্রকল্পের আওতায় আসেন।
এই দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ্যে আনেন কিছু এলাকাবাসী। এব্যাপারে প্রশাসনের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয়রাই। প্রতারণার বিয়ের সূত্রপাত গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর। গণবিবাহের আসর বসেছিল হাথরসে। পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হয়েছিলেন ২১৭ দম্পতি। স্থানীয়সূত্রে খবর সরকারি প্রকল্পের টাকা হাতাতে এই গণবিবাহের আসর বসিয়েছিলেন এক পুরকর্মী। প্রতারণার ছক তৈরি করেছিলেন ওই পুরকর্মীই। সরকারি সাহায্যের লোভ দেখিয়ে মঞ্চ সাজানো হয় বিবাহ-নাটকের। কিন্তু শেষপর্যন্ত ধরা পড়ে যায় প্রতারণা। ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে যোগী সরকার। নিন্দার ঝড় উঠেছে একাধিক মহলে।