প্রতিবছরের মতোই এবারও দুর্গাপুজোর আগে ‘নবনীড়’ বৃদ্ধাশ্রমে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানকার আবাসিকদের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটালেন। তাঁদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। মুখ্যমন্ত্রী আসতেই তাঁকে আবাসিকরা শাঁখ বাজিয়ে স্বাগত জানান। গান গেয়ে শোনান। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ও সুর করা গান পরিবেশন করেন ইন্দ্রনীল সেন। নিজের লেখা নতুন গানের দু’কলি গেয়ে শোনান মুখ্যমন্ত্রীও। উল্লেখ্য, ২০২১ সাল থেকে এই বৃদ্ধাশ্রমে পুজোর উৎসবের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এদিন বৃদ্ধা আবাসিকদের দেখে নিজের প্রয়াত মায়ের স্মৃতিতে আবেগঘন হয়ে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের কাছে পেয়ে বললেন, “আপনাদের মধ্যে দিয়ে আমি আমার মাকে খুঁজে পাই। মাকে বাদ দিয়ে আমার চলে না। তাই আপনাদের কাছে আসি।”
এদিন আবাসিকের অনেকের সঙ্গেই গল্পে মেতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের লেখা গানও দু’কলি গেলে শোনান তিনি। বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের উপহার তুলে দেওয়ার পাশাপাশি গান পরিবেশন করেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। সঙ্গে ছিলেন মেয়র-মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। অন্যদিকে, এদিনই সুরুচি সংঘের পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়েও মায়ের কথা রোমন্থন করেন তিনি। স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন। জানান, তাঁর মা যখন বেঁচে ছিলেন তখন রোজ মাকে প্রণাম করে বেরোতেন তিনি। এখন মায়ের ছবিতে প্রণাম করে বের হন। কিন্তু পাড়ায় মায়ের সমসাময়িক যে বৃদ্ধারা রয়েছেন তাঁরা এখনও তাঁর বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়, দরজায় দাঁড়িয়ে থাকেন। প্রসঙ্গত, এবার সুরুচি সংঘের থিম ‘পুরানো সেই দিনের কথা’। ‘থিম সং’ রচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গানটির সুর তৈরি করেছেন জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গানটি গেয়েছেন মহালক্ষ্মী আইয়ার।
