বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পথে শপথ নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যে কর্মনাশা বনধের ধারাবাহিকতাকে বন্ধ করতে তৎপর হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বনধ নয়, সমস্যার সমাধানে আলোচনাই যে অপেক্ষাকৃত উপযুক্ত পথ, তৃণমূল সরকারের আমলে বারবার তা প্রমাণ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, সোমবার পাহাড়ের চা শ্রমিকরা কর্মবিরতির ডাক দিলেও রাজ্য প্রশাসন যে তা সমর্থন করে না তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে লেবার কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকেই সমাধানসূত্র মিলবে বলে আশ্বাস দিলেন। ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে চা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের শ্রম দফতরকে। আগেও চা শ্রমিকদের সমস্যায় বারবার রাজ্য সরকার তথা রাজ্য শ্রম দফতরের চেষ্টায় সুরাহা মিলেছে। যে পুজোর বোনাস নিয়ে পাহাড়ের চা শ্রমিকরা মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন, সেই বোনাস নিয়ে তরাই-ডুয়ার্সে কোনও সমস্যাই হয়নি এবছর।
মুখ্যমন্ত্রী সোমবার আশ্বাস দেন, “আমি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারি না। লেবার কমিশনার ওদের সঙ্গে বসে ঠিক করবে। কেউ কেউ রাজনৈতিকভাবে এটাকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। লেবার কমিশনার সমাধানের চেষ্টা করছে। তরাই-ডুয়ার্স হয়ে গিয়েছে। পাহাড়টা আমি আশা করছি হয়ে যাবে।” পাহাড়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক চারবার হওয়ার পরেও বোনাস সমস্যার সুরাহা হয়নি। এরপরই সোমবার কর্মবিরতি ডাকেন চা শ্রমিকরা। তবে সমস্যা যে দ্রুত সমাধান হবে তা নিয়ে আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে রাজ্যের সরকার বনধ সমর্থন করে না বলে তিনি জানান, “আমি কোনও বনধ সমর্থন করি না। চা শ্রমিকদের দাবি, সেটা ওদের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক চলছে। লেবার কমিশনার এসেছেন। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন।” সোমবার পাহাড়ের চা বাগানগুলিতে কাজ বন্ধ থাকার পরই নবান্ন থেকে বার্তা যায় উত্তরে। শ্রম দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যসচিব। সেই বার্তার পরেই চা শ্রমিক ও মালিক পক্ষের সঙ্গে ফের সমাধান সূত্রের খোঁজে বৈঠকের প্রক্রিয়া আরম্ভ করেন লেবার কমিশনার।