জননেতা তিনি। জনসাধারণের ‘কাছের মানুষ’। আমজনতার বিপদে-আপদে বারবারই মুশকিল আসান হয়ে উঠেছেন ডায়মন্ড হারবারের তিনবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ফের সেই দৃশ্যের সাক্ষী রইল বাংলা। সমাজমাধ্যমে জানতে পেরে পেরে, দরিদ্র দম্পতির শিশুপুত্রে চিকিৎসার সব ভার নিয়ে অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন তিনি। এবার এক বৃহন্নলার আবেদনে এক মানসিক ভারসাম্যহীন গর্ভবতী মহিলার পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসার সব বন্দোবস্ত করলেন তিনি। পাষাপাশি, মহিলা ও তাঁর নবজাতকের থাকার ব্যবস্থাও করে দিলেন। প্রসঙ্গত, বজবজ স্টেশনে বেশ কিছুদিন ধরেই এক অন্তঃসত্ত্বা মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা ঘুরতে দেখছিলেন নিত্যযাত্রীরা। ওই চত্বরে প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি ঝুপড়িতেই থাকতেন ওই মহিলা ও তাঁর মা। ভিক্ষা করেই দিন কাটত তাঁদের। বজবজ-শিয়ালদহ শাখায় ভিক্ষাজীবী বৃহন্নলা কুণাল দলুই ওই ভারসাম্যহীন মহিলাকে দেখতেন প্রতিদিনই। এদিন তিনি দেখেন, সেই অন্তঃসত্ত্বা যন্ত্রণায় ছটফট করছেন স্টেশন চত্বরেই।
চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে স্থানীয় বজবজ পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কৌশিক রায়ের সঙ্গে তড়িঘড়ি যোগাযোগ করেন কুণাল। কিন্তু ওই মহিলার পরিচয় পত্র না থাকায় জটিলতা তৈরি হয়। কৌশিক যোগাযোগ করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে। তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা হয়। বৃহন্নলার পরিচয় পত্রেই বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ভর্তি হন মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা। পরে তাঁকে বজবজ পুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর চিকিৎসার সব খরচ বহন করেন অভিষেক। শুধু তাই নয়, অভিষেকের উদ্যোগে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে মা-শিশু ও ওই মহিলার মায়ের থাকার জন্য একটি ঘরেরও ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়। অভিষেকের ভূয়সী প্রশংসা করেছে ঘাসফুল শিবির। “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন গর্ভবতী মহিলার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, যিনি অস্ত্রোপচার করাতে না পেরে কষ্ট পাচ্ছিলেন। তাঁর চিকিৎসার খরচ বহন করেন এবং তাঁর বাসস্থানের ব্যবস্থা করেন। জনগণের সেবা করাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান উদ্দেশ্য!”, এক্স হ্যান্ডলে লিখেছে তৃণমূল।