অতিসম্প্রতিই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আর জি কর কাণ্ডে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নিয়েছেন মমতা। প্রতিশ্রুতিমতোই রদবদল এনেছেন প্রশাসনিক ও স্বাস্থ্যদফতরের একাধিক পদে। পাশাপাশি, চিকিৎসকদের কাজে ফেরার অনুরোধও জানিয়েছেন। এবার সেই একই বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম থেকেই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাচ্ছেন তিনি। এবার সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে আন্দোলনকারীদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আবেদন জানালেন অভিষেক। তাঁর কথায়, রাজ্য দাবি মেনেছে। “এখন কর্মবিরতি তুলে সরকারি কাজে সহযোগিতা করুন”, জুনিয়র ডাক্তারদের বার্তা অভিষেকের।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক লেখেন, “প্রথমদিন থেকেই আমি নিরাপত্তার বিষয়ে ডাক্তারদের তাদের উদ্বেগের বিষয়ে সমর্থন করেছি। কয়েকটি বিষয় ছাড়া তাঁদের উদ্বেগের বেশিরভাগই বৈধ ও ন্যায্য। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়ন-সহ নিরাপত্তার উন্নতির জন্য বেশিরভাগ ব্যবস্থাই চলছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের সামনে রাজ্য সরকার দাবি করেছে যে ১৪ দিনে সব কাজ হয়ে যাবে। সরকার স্বাস্থ্য দফতর এবং কলকাতা পুলিশের কিছু উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বদলির জন্য তাঁদের দাবিকে সম্মান করেছে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে যা বলেছেন, সেটা করেছেন।” এর পরেই জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে অভিষেকে লেখেন, “সদিচ্ছার দেখিয়ে ডাক্তারদের এখন কর্মবিরতি তোলা করার কথা বিবেচনা করা উচিত এবং জনগণের সেবা করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত। এই পরিবর্তনগুলি অবিলম্বে কার্যকর করতে টাস্ক ফোর্সের উদ্যোগগুলিকে ত্বরান্বিত করা উচিত।” তিলোত্তমার ধর্ষণ-খুনের দ্রুত বিচারের দাবিতে প্রথম থেকেই সরব হয়েছেন অভিষেক। “সবশেষে, সিবিআইকে অতি দ্রুত শাস্তি দিতে হবে, যাতে কোনও অপরাধী ছাড় না পায়। সিবিআই-এর রেকর্ড বলে, গত ১০ বছরে, তারা একটিও তদন্ত সম্পন্ন করতে পারেনি। JUSTICE DELAYED IS JUSTICE DENIED #JusticeForRGKar”, লিখেছেন তিনি।