নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় চলছে বর্ষণ। বৃষ্টি এবং ভরা কোটালের কারণে জলমগ্ন দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। এমতাবস্থায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই বন্যা-পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে জেলাশাসকদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি ঘাটাল, আরামবাগ ও উলুবেড়িয়ায় আলাদাভাবে মন্ত্রীদের ফোন করে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বাঁধ থেকে জল ছাড়ার আশঙ্কায় আগাম তৎপরতা অবলম্বন করছে রাজ্য। দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলা বন্যায় প্রভাবিত বলে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “নিম্নচাপের ফলে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। ঘাটাল আরামবাগ গোঘাট জলমগ্ন। উলুবেড়িয়া এখনও আসেনি, কিন্তু জল ছাড়লে আসবে। বীরভূম, বাঁকুড়ার কিছুটা অংশ, উত্তরবঙ্গের কিছু অঞ্চল এবং বিশেষ করে পুরুলিয়া বাঁকুড়া মেদিনীপুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।” প্রতিনিয়ত মুখ্যমন্ত্রী নিজে এইসব এলাকার পরিস্থিতির অবনতির খবর পাওয়ার পরই তৎপর হয় প্রশাসন। “মুখ্যসচিবকে বলেছি প্রতিনিয়ত জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিং করতে। জেলাশাসকদের সবাইকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যেতে বলা হয়েছে। মুখ্যসচিব নিজেও বৈঠক করেছেন জেলাশাসকদের সঙ্গে। এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ জেলাশাসকদের দেওয়া হয়েছে”, জানিয়েছেন মমতা।
এরই পাশাপাশি পূর্ববর্তী পরিস্থিতির উপর নজর রেখেই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “আমি নিজে মানস ভুঁইয়াকে ফোন করে দায়িত্ব দিয়েছি ঘাটাল মহকুমা দেখার জন্য। বেচারাম মান্নাকে ফোন করেছি। আরামবাগ গোঘাট খানাকুল যে নিম্নাংশ রয়েছে এই জায়গাগুলোতে সাংসদ, বিধায়কদের নিয়ে, যারা কাজ করছে তাদের নিয়ে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে জেলাশাসককে সাহায্য করতে। ত্রাণে কী প্রয়োজন, তার ব্যবস্থা দ্রুত হচ্ছে কিনা দেখতে। উলুবেড়িয়াতে পুলক রায়কে ফোন করে বলে দিয়েছি। আমতা উলুবেড়িয়া উদয়নারায়ণপুরের ওদিকে যদি কোনওরকম জল আসে তাহলে মানুষকে আশ্রয় দিয়ে ত্রাণের ব্যবস্থা করতে। জেলাশাসক পুলিশ সুপারদের কনফেডেন্সে নিয়ে কাজগুলো করার জন্য। উত্তরবঙ্গের জেলাশাসকদের সঙ্গে কোঅর্ডিনেশন রয়েছে।” ইতিমধ্যেই ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান রাখতে শুরু করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “যাদের ঘর ভেঙে গিয়েছে, যাদের ক্ষেত ডুবে গিয়েছে সরকার তাদের পুরো সাহায্য করবে। চিন্তা করবেন না। যেখানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গিয়েছে তার জন্য বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সব পরীক্ষা করে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে।” তবে সোমবার বৃষ্টি কিছুটা কমলেও মহালয়ার সময় ফের ভরা জোয়ারে জল বাড়ার আশঙ্কার কথাও প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে রাজ্যের সবস্তরের সহযোগিতার ক্ষেত্রে আশাবাদী তিনি।