Aparajita Bill সম্প্রতি নারীসুরক্ষার স্বার্থে ধর্ষণবিরোধী ‘অপরাজিতা’ বিল পাশ হয়েছে রাজ্য বিধানসভায়। যা ভারতের ইতিহাসে কার্যত নজিরবিহীন। এবার এই বিলটিকে স্বাগত জানালেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। তাঁর বক্তব্য, “এটা একটা মডেল। এটা মহারাষ্ট্রে হওয়া উচিত, গোটা দেশেও হওয়া উচিত।” শরদ পাওয়ারের সেই বার্তা তুলে ধরে রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুকরণ ও অনুসরণ করা এবং তাঁর থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করা।” তৃণমূল কংগ্রেস শরদ পাওয়ারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করতে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ। এই পদক্ষেপটি এই সত্যেরও প্রমাণ যে, সংস্কারের ক্ষেত্রে বাংলা সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। যারা দীর্ঘদিন ধরে দিল্লীর জমিদারদের নির্দেশে বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট করার সর্বাত্মক চেষ্টা করে আসছে, বাংলা-বিরোধী সেইসব শক্তিগুলির জন্যও উপযুক্ত জবাব এই বিল।
পাষাপাষ, কুণাল ঘোষের কথায়, “অপরাজিতা বিলটি এনে দেশে ইতিহাস তৈরি করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নারীসুরক্ষায় ধর্ষণ এবং খুনের সাজা একেবারে আজীবন কারাদণ্ড থেকে ফাঁসি। এই যে ঐতিহাসিক বিল এবং শাস্তি, এতে নারী-সুরক্ষার বার্তা জোরদার হবে। এনসিপির জাতীয় নেতা এবং ভারতবর্ষের অন্যতম একজন প্রথম সারির নেতা শরদ পাওয়ার ইতিমধ্যেই স্বাগত জানিয়েছেন বিলটিকে। তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের এই অপরাজিতা বিল হচ্ছে একটা মডেল। এটা মহারাষ্ট্রে হওয়া উচিত। এটা সারা দেশে হওয়া উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নজির স্থাপন করেছেন।” এখানেই থেমে থাকেননি কুণাল। “বাংলা আজ যা ভাবে আগামীকাল গোটা ভারতবর্ষ তাই ভাবে এবং ভাবতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের জন্য বহু কাজ করেছেন। এবার তাঁদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নারীনির্যাতনকারীদের কঠোরতম শাস্তির ঐতিহাসিক বিল দেশের সামনে মডেল হিসেবে রাখলেন”, জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা।
লিঙ্কঃ https://x.com/ekhonkhobor18/status/1831627975420256292