Abhishek Banerjee বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ছাত্রসমাবেশের মঞ্চ থেকে নিজের বক্তব্যে ঝড় তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বিজেপির ডাকা কর্মনাশা বনধ্-এর বিরোধিতা করার পাশাপাশি ধর্ষণ রুখতে কড়া আইন আনার সপক্ষে সওয়াল করলেন তিনি। বিজেপিকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিষেক বললেন, “দফা এক, দাবি এক, ধর্ষণ বিরোধী আইন আনা হোক। আগামীদিনে এই সরকার ধর্ষণ বিরোধী আইন আনুক।” এরপরই অভিষেকের প্রশ্ন, “রাতারাতি নোটবন্দি, লকডাউন করতে পারে, তাহলে ধর্ষণ বিরোধী আইন আনা হচ্ছে না কেন? আমরা চাই যারা এই নারকীয় বর্বর ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের সমাজে থাকার অধিকার নেই। এই আন্দোলনকে দিল্লী পর্যন্ত নিয়ে যাব। শুরু তোমরা করেছো, শেষ আমরা করব। প্রয়োজনে সাংসদ হিসেবে সংসদে বিল আনার জন্য মুভ করব।” বিজেপিকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অভিষেক। “বিজেপির সেই দম নেই। কারণ, এই কঠোর আইন এলে সবচেয়ে বেশি জেলে যাবে বিজেপির লোকেরা। কালকে যারা রাস্তায় নেমেছিল, সেখানে কোনও ভদ্রলোক ছিল না”, বলেন তিনি।
পাশাপাশি, এদিন মেয়ো রোডের ছাত্র সমাবেশ থেকে আর জি কর প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বলেন, “একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা ভারতবর্ষের মানুষ বিচার চাইছে, সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাঁরা লাশের নোংরা রাজনীতিতে নিজের লিপ্ত করেছে, তাঁদের মুখোশ খুলে গেছে। যাঁরা সন্দেশখালি করে মহিলাদের মান, সম্ভ্রম ২০০০ হাজার টাকার বিনিময়ে দিল্লির কাছে বিক্রি করেছেন তাদের নারী সুরক্ষা নিয়ে কথা বলার কোনও অধিকার নেই।” তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “তৃণমূলের নামে যত কুৎসা অপপ্রচার হয়েছে, তৃণমূল ততই শক্তিশালী হয়েছে। আমরা বিশুদ্ধ লোহার মতো, যত আঘাত করেছে, পুড়িয়েছে সেই লোহা তত শক্তিশালী হয়েছে।” উন্নাও থেকে হাথরাসের প্রসঙ্গ তুলে অভিষেক বলেন, “যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করছেন, তাদের একটা তথ্য দিই। গত ১০ বছরে এনসিবিআরের তথ্য অনুযায়ী নারী নির্যাতনে দেশে শীর্ষ স্থানে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও মহারাষ্ট্র। ওই চার রাজ্যে যথাক্রমে ৪১ হাজার ৭৩৩টি, ৩৬ হাজার ১৪৪টি, ২৮ হাজার এবং ২৫ হাজার নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে এদিন বনধের বিরোধিতা করে অভিষেক বলেন, “কর্মনাশা, সর্বনাশা বনধকে উপেক্ষা করে যাঁরা সমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করেছে তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। রাজ্যের ক্ষমতায় আসার সময় থেকে আমরা এই কর্মনাশা বনধের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছি। বাংলাকে যারা অচল করতে চাইছে আমরা এর বিরুদ্ধে।” এরপরই বিজেপিকে ফের চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন। “বিজেপির নেতৃত্বকে অনুরোধ করব, প্রতি ২৮ অগস্ট একটা করে বনধ ডাকুন। কীভাবে বনধকে প্রত্যাখ্যান করতে হয়, সেটা জানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা”, সাফ জানান তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড।
লিঙ্কঃ https://x.com/ekhonkhobor18/status/1828783380353458429