খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এলাকায় প্রকাশ্যে এসেছে বিজেপির বর্বরতা। জনৈকা মহিলা তৃণমূল কর্মীর উপর অত্যাচারের অভিযোগে নন্দীগ্রামে ফের দুই বিজেপির সক্রিয় কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বামদেব দাস এবং ভগীরথ দাস নামে ধৃত দুই যুবকের বাড়ি গোকুলনগর। ১৬ আগস্ট শুক্রবার রাতে গোকুলনগর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর এবং তাঁর উপর পাশবিক অত্যাচারের ঘটনায় ধৃতদের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় বিজেপি নেতা-কর্মী মিলে সাত জন গ্রেফতার হয়েছে। তারা সকলেই জেল হেফাজতে। ঘটনার তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার রাতে গোকুলনগর এলাকা থেকে পুলিশ বামদেব এবং ভগীরথকে পাকড়াও করে। শুক্রবার হলদিয়া মহকুমা আদালতে তাদের তোলা হয়। আদালতের নির্দেশে ধৃতদের চার দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গ টেনে নন্দীগ্রাম থানার আইসি অনুপম মণ্ডল জানিয়েছেন, “গোকুলনগর কাণ্ডে এ পর্যন্ত অভিযুক্ত নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাতজনের জেল হেফাজত হয়েছে। দুজন রয়েছেন পুলিশ হেফাজতে। চলছে তদন্তের কাজ।”
প্রসঙ্গত, ঘটনায় আহত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী মাম্পি দাস কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর বাড়ি ভাঙচুর এবং অত্যাচারের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির চেয়ে নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসের সামনে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকর্মীরা ধারাবাহিক অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। ২১ আগস্ট থেকে সেই আন্দোলন কর্মসূচি চলছে। চলবে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত। বিজেপির নেতাকর্মীদের অত্যাচারের প্রসঙ্গ টেনে সরব হয়েছেন নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ। “আমাদের তৃণমূল কংগ্রেস মহিলা কর্মীর উপর নারকীয় হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে নজন বিজেপি নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে জানি। ঘটনায় স্থানীয় বেশ কিছু জনপ্রতিনিধি এবং মণ্ডল কমিটির সভাপতি সদস্য রয়েছেন। তাদের গ্রেফতার করা হোক। পরিকল্পিতভাবে আমাদের মহিলা কর্মীর উপর এই হামলা কোনভাবে বরদাস্ত করা যায় না। বিজেপি মুখে যা বলে কাজে তার উলটো করে। নন্দীগ্রামে সেই ঘটনা ওরা ঘটিয়ে চলেছে। আগামী দিনে মানুষ এর জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে”, জানিয়েছেন তিনি।