Trinamool ইতিমধ্যেই আর জি কর কাণ্ড নিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে একযোগে আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি ও সিপিএম। নির্যাতিতাকে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথায় অশালীন ইঙ্গিত করেছে বিরোধীরা। ছড়িয়ে পড়েছে ‘রেট বেঁধে দেওয়া’ শীর্ষক মন্তব্য। এবার ন্যাশনাল লিগাল সার্ভিস অথরিটির রিপোর্ট পেশ করে বিরোধীদের কড়া ভাষায় একহাত নিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। কার্যত, চোখে আঙুল দিয়ে রিপোর্টের খতিয়ান তুলে ধরলেন তিনি। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ধর্ষিতা, খুন, শ্লীলতাহানির ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণে ন্যাশনাল গাইডলাইন রয়েছে।
আরও পরুনঃ ‘৫০ দিনের মধ্যে ধর্ষকদের শাস্তি চাই!’ – আর জি কর কাণ্ড নিয়ে স্পষ্ট দাবি অভিষেকের
সেখানে লস অফ লাইফে ন্যূনতম ৫ লাখ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা দেওয়ার গাইডলাইন বেঁধে দেওয়া আছে। এই বিষয়টিকে কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়ে প্রাক্তন সাংসদ বলেন, “রেট বেঁধে দেওয়া, এটা কোন ধরনের ভাষা?” এরপর এই তিনি সেই রিপোর্ট তুলে ধরে বলেন, এই তালিকা সারাদেশের জন্য প্রযোজ্য। অপরাধের নিরিখে সেখানে একটা গাইডলাইন রয়েছে যে, কোন ক্ষেত্রে কতটা ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়।
লিঙ্কঃ https://x.com/ekhonkhobor18/status/1826533315429474774
পাশাপাশি, তাঁর বক্তব্য, “এই নৃশংস ঘটনায় রাজ্য যদি সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণের কথা বলে কর্তব্য পালন করে তাহলে কি তার মানে রেট বেঁধে দেওয়া? এগুলো এমন ক্ষতি যা টাকা দিয়ে পূরণ করা যায় না। এটা সারা দেশের গাইড লাইন। তাঁর কথায়, বিজেপিশাসিত কোনও রাজ্যেও যদি এই ধরনের ধর্ষণের ঘটনা ঘটে তাহলেও এই ক্ষতিপূরণই দেওয়া হবে। এই গোটা বিষয়টি আইনের মধ্যে বাঁধা।” এরপরেই এই কুৎসিত মন্তব্যকে তীব্র ধিক্কার জানিয়ে কুণাল বলেন, পুরো বিষয়টি জেনে নিয়ে তারপরে মন্তব্য করা উচিত। প্রসঙ্গত, এই ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। কিন্তু পাল্টা প্রশ্ন উঠছে, বিজেপিশাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর, উন্নাও, হাথরসে যে নারকীয় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তাতে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীরা কতবার পদত্যাগ করেছেন? রাজ্যে যখন সিপিএম ক্ষমতায় ছিল তখন বানতলা, ধানতলা কিংবা কোচবিহারে ধর্ষণের ঘটনায় জ্যোতি বসু কি পদত্যাগ করেছিলেন? ফলত, এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের যে দাবি উঠছে, তা সাধারণ মানুষের আবেগকে বিপথগামী করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার চেষ্টা বলেই মনে করছে ঘাসফুল শিবির।




