RG Kar Medical College সম্প্রতি আর জি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া তরুণী চিকিৎসকের যৌন নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড ঘিরে তোলপাড় সারা রাজ্য। ইতিমধ্যেই এই ঘৃণ্য ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। তাঁর নির্দেশেই উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রতি জেলার ব্লকে ব্লকে ধরনা-অবস্থান থেকে সেই দাবিতে গর্জে উঠেছে তৃণমূল। দাবি একটাই। আর জি কর-কাণ্ডে রাম-বামের সব চক্রান্ত ব্যর্থ করে দোষীদের ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে অবিলম্বে। শুক্রবার কলকাতার রাজপথে র্যালি করে যে প্রতিবাদের সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা ব্লকে ব্লকে ছড়িয়ে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। নেত্রীর নির্দেশে শনিবার ছিল প্রতিবাদ মিছিল। আর রবিবার আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে সর্বত্রই অনুষ্ঠিত হয় ধরনা-অবস্থান।
বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে, তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে মঞ্চ করে তৃণমূল ধরনা কর্মসূচি পালন করে এদিন। এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়ক ও নেতা-নেত্রীরা। কলকাতার খিদিরপুরে ধরনা-অবস্থানে নেতৃত্ব দেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ছিলেন সুপ্তি পাণ্ডে। হাজরা, ঢাকুরিয়ায় নেতৃত্বে ছিলেন বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। কোচবিহারের জেলা সভাপতি থেকে ব্লক সভাপতিদের নেতৃত্বে এই অবস্থান চলে। সমস্ত স্তরের নেতৃত্ব এই কর্মসূচিতে শামিল হন। ঘুঘুমারি মোড়ে অবস্থান কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। দক্ষিণ দিনাজপুরে সাতটি ব্লকে এই ধরনা কর্মসূচি চলে। বালুরঘাট শহরে তৃণমূল কংগ্রেসের ধরনা মঞ্চে নেতৃত্ব দেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল, শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রীতমরাম মণ্ডল। বীরভূমের নলহাটিতে তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচিতে ছিলেন ব্লকের ফাইভ ম্যান কমিটির সদস্যরা। রামপুরহাটে বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মহকুমা প্রশাসনিক ভবনের সামনে ধরনা চলে।
লিঙ্কঃ https://x.com/ekhonkhobor18/status/1825465758433833171
পাশাপাশি, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ধরনা গণঅবস্থান কর্মসূচিতে রূপান্তরিত হয়। নেতৃত্বে ছিলেন বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। মন্ত্রী মলয় ঘটক, পুর-চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ধরনা-অবস্থান চলে আসানসোলে। উত্তর ২৪ পরগনার বরানগরে প্রতিবাদী সভামঞ্চে ছিলেন বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন কাউন্সিলর থেকে শুরু করে সহ তৃণমূল স্তরের কর্মীরাও। হুগলির আরামবাগে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন আরামবাগের সাংসদ মিতালি বাগ। চুঁচুড়ায় বিধায়ক অসিত মজুমদারের নেতৃত্বে চলে ধরনা-অবস্থান। দক্ষিণ ২৪ পরগনা কুলপিতে তৃণমূলের ধরনা মঞ্চে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি, ব্লক সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি, ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি, পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সদস্যরা।

সাগরে মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরার নেতৃত্বে পালিত হয় কর্মসূচি। হাওড়ার উলুবেড়িয়া উত্তরে ধরনার নেতৃত্ব দেন বিধায়ক নির্মল মাজি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই অবস্থান বিক্ষোভ থেকে আওয়াজ ওঠে বিজেপি ও সিপিএমের চক্রান্তের বিরুদ্ধে। আর জি করের ঘটনাকে নিয়ে নোংরা রাজনীতির খেলায় মেতেছে তারা। তৃণমূলের বার্তা, মণিপুর, বিলকিস বানো, হাথরস, উন্নাও-এর কথা যেমন মানুষ ভুলে যায়নি, তেমনই ভুলে যায়নি কোচবিহারের নার্স, বানতলার ডাক্তারকে ধর্ণষ করে খুন থেকে শুরু করে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের ঘটনা। ভোলেননি সাঁইবাড়ি থেকে নেতাইয়ের গণহত্যা ও কান্দুয়ার হাত কেটে নেওয়ার ঘটনা। আ রজি করের ঘটনায় রাজ্যের পুলিশ চটজলদি ব্যবস্থা নিয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করেছে। এখন আরজি করের ঘটনায় তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। ৯৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও একজনকেও গ্রেফতার পর্যন্ত করেত পাপেনি। এখন দ্রুত তদন্ত শেষ করে দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে সরব হল ঘাসফুল শিবির।
rg kar medical college