Jute Industry কেটে গিয়েছে বছরের পর বছর। তবুও মেলেনি কোনও সুরাহা। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলার প্রতি দুয়োরানিসুলভ আচরণ অব্যাহত রেখেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। বিভিন্ন ক্ষেত্রে উঠেছে বঞ্চনার অভিযোগ। অতিসম্প্রতি কেন্দ্রের নতুন বাজেটে তা স্পষ্ট হয়েছে আরও একবার। একশো দিনের কাজের প্রকল্প বাবদ রাজ্যের টাকা এখনও বাকি। পাশাপাশি শিল্পের আঙিনাতেও বারবার ফুটে উঠেছে বাংলার প্রতি মোদী সরকারের তাচ্ছিল্য ও অবহেলার চিত্র।
আরও পড়ুন: দিশাহীন, বিভ্রান্তিকর! – একাধিক পরিসংখ্যান তুলে ধরে মোদী সরকারের বাজেটকে বিঁধলেন অমিত মিত্র
বেসরকারিকরণ থেকে শুরু করে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিতে কর্ণপাত না করা, এসব প্রায় দৈনন্দিন ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার বাংলার ঐতিহ্যবাহী চটশিল্পকেও ধ্বংসের পথে ঠেলে দিতে মরিয়া কেন্দ্র। বন্ধ চটকলগুলির খোলার ব্যাপারে কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই তাদের। কেন্দ্রের কাছে সেই বঞ্চনার জবাব চাইতে এবং বাংলার চটশিল্পকে ধ্বংস করার কেন্দ্রীয় সরকারের চক্রান্ত ব্যর্থ করতে বৃহত্তর প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন। আজ সোমবার কেন্দ্রের ধ্বংস করার নীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠল আইএনটিটিইউসি। দুপুর দুটো থেকে আইজেএম অফিস, বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স বিল্ডিংয়ের সামনে কেন্দ্রের ধ্বংসনীতির প্রতিবাদে চলল অবস্থান বিক্ষোভ।

প্রসঙ্গত, উক্ত কর্মসূচিতে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, আইএনটিটিইউসি রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত অল বেঙ্গল তৃণমূল জুট অ্যান্ড টেক্সস্টাইল ইউনিয়নের ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, আইএনটিটিইউসির উত্তর কলকাতার সভাপতি তথা পুরসভার এমআইসি স্বপন সমাদ্দার প্রমুখ। মোদী সরকারকে কড়া ভাষায় একহাত নিয়েছেন আইএনটিটিইউসি রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানিয়েছেন, “বাংলার চটশিল্পে বিপ্লব এনেছে রাজ্য সরকার। অস্থায়ী কর্মীদের ৯০ শতাংশই স্থায়ী করা হয়েছে। চটকল শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি রাজ্যের উদ্যোগে একটি সঠিক জায়গা পেয়েছে।
Link:https://x.com/ekhonkhobor18/status/1822913825898643632
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চটকল শ্রমিকদের জন্য এই ঐতিহাসিক চুক্তি হয়েছে। আর কেন্দ্র বাংলার চটশিল্পকে ধ্বংস করতে উদ্যোগী হয়েছে। ওই চক্রান্ত ব্যর্থ করবে তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্র জুটকে অগ্রাধিকার না দিয়ে সিন্থেটিক দ্রব্যকে তুলে ধরছে। এর ফলেই সমস্যা হয়েছে। চটশিল্পকে ধ্বংস করতে নামা কেন্দ্রকে জবাব দিতেই এই অবস্থান প্রতিবাদ।” এদিনের সমাবেশেও একই ভাবে তাঁরা প্রত্যেকেই সুর চড়ালেন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে।
jute industry