নরেন্দ্র মোদীর আমলে দেশজুড়ে অব্যাহত ট্রেন দুর্ঘটনার বিভীষিকা। করমণ্ডল এক্সপ্রেস, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও দগদগে। মঙ্গলবার সাতসকালে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল হাওড়া-মুম্বই এক্সপ্রেস। ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরের মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কায় লাইনচ্যুত হয়েছে অন্তত ১৮টি বগি। মৃতের সংখ্যা আপাতত দুই। তবে তা বাড়ার আশঙ্কা থাকছেই। আহত হয়েছেন বহু। প্রতিবেশী রাজ্যের এই দুর্ঘটনার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল বাংলা। সীমানা-সংলগ্ন জেলা পুরুলিয়া থেকে পৃথক দুটি টিম পাঠানো হল উদ্ধারকাজের জন্য। এদিকে, দুর্ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের সুবিধার্থে বেশ কিছু হেল্পলাইন নং চালু করা হয়েছে রেলের তরফে। ঝাড়খণ্ড এবং বাংলায় একাধিক টোল ফ্রি নম্বর জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি, দুর্ঘটনার কারণে এই রুটে একাধিক ট্রেন বাতিলের পাশাপাশি বহু ট্রেনের রুট বদল করা হয়েছে। তার বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের তরফে অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) আদিত্যবিক্রম মোহন হিরানি ও অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) রাজেশ রাঠোরের নেতৃত্বে একটি টিম যাচ্ছে। সেইসঙ্গে পুরুলিয়া জেলা পুলিশের তরফে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অভিযান) যোধাবর অবিনাশ ভীম রাওর নেতৃত্বে একটি টিম পাঠানো হয়েছে। “ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় বাংলার বেশ কয়েকজন যাত্রী জখম হয়েছেন। তাঁদের যাতে সবরকম সহায়তা করা যায়, তাই টিম পাঠানো হয়েছে”, জানান পুরুলিয়ার জেলাশাসক রজত নন্দা ও পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।