মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক প্রাণঘাতী রেল দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশ। পাশাপাশি, প্রকাশ্যে এসেছে নানান সমস্যা। যেমন, কবচ সুরক্ষায় গাফিলতি, পরিকাঠামো, পর্যাপ্ত কর্মীর অভাব। প্রশ্নের মুখে পড়েছে যাত্রীসুরক্ষা ও নিরাপত্তা। করমণ্ডল এক্সপ্রেস, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের বিভীষিকাময় দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা দেশবাসীর মনে। আর এবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ল বিহারের দ্বারভাঙা থেকে নয়াদিল্লীগামী সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস। চলন্ত অবস্থায় কাপলিং ছিঁড়ে গিয়ে ঘটল বিপত্তি। নিমেষের মধ্যেই ট্রেনটি দু’টি অংশে ভাগ হয়ে যায়। আজ, সোমবার বিহারের সমস্তিপুর-মুজফফরপুর রেল ডিভিশনের পুসা স্টেশনের কাছে এমন ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে সোনপুর থেকে রেলের কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ট্রেনটিকে পুলা স্টেশনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। ট্রেন দাঁড়াতেই ট্রেন থেকে নেমে পড়েন আতঙ্কিত যাত্রীরা। তবে মেলেনি হতাহতের খবর।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক তদন্তে অনুযায়ী, কোচের সঙ্গে ইঞ্জিনের সংযোগকারী কাপলিং ছিঁড়ে গিয়েছে যার ফলে ট্রেনটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। আধ ঘণ্টার মধ্যেই ট্রেনটিকে আবার ইঞ্জিনের সঙ্গে জুড়ে নয়া দিল্লীর দিকে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার সময় ট্রেন ম্যানেজার বিষয়টি বুঝতে পেরে চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তার মধ্যেই ইঞ্জিনের সঙ্গে থাকা বগিগুলিকে নিয়ে ট্রেনটি বেশ কিছুটা দূরে চলে গিয়েছিল। সতর্কবার্তা পেয়ে ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দেন চালক। বিষয়টি জানতে পেরে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। প্রাণ বাঁচাতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, চালক টেরই পাননি কখন ট্রেনের কাপলিং ছিঁড়ে কিছু বগি আলাদা হয়ে গিয়েছে! এই ঘটনার ফলে ওই রুটে ট্রেন চলাচল কিছুক্ষণের জন্য ব্যাহত হয়। সম্পূর্ণ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুরু হবে তদন্ত। কীভাবে চালক এত বড় ঘটনা আঁচ করতে পারলেন না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে রেলমন্ত্রক।