নরেন্দ্র মোদীর জমানায় বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক। প্রশ্নের মুখে পড়েছে যাত্রীসুরক্ষা ও নিরাপত্তা। গত কয়েক বছরে ঘটে গিয়েছে একের পর এক প্রাণঘাতী রেল দুর্ঘটনা। পাশাপাশি, কবচ সুরক্ষায় গাফিলতি, পরিকাঠামো, কর্মীর অভাব ইত্যাদি নানান অভিযোগ উঠেছে রেলের বিরুদ্ধে। আর ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের সাধারণ বাজেটে মাত্র একবার রেল শব্দটি ব্যবহার করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন! তাও তা শরিক দলগুলিকে খুশি করার জন্য বরাদ্দ ঘোষণার কারণে। স্বাভাবিকভাবেই বয়ে গিয়েছে বিতর্কের ঝড়। বিরোধীরা সরব হয়েছেন। ক্ষুব্ধ আমজনতাও। যদিও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের দাবি, এবার রেলকে রেকর্ড ২ লক্ষ ৬২ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে সেই তথ্য নিয়ে ঘনীভূত হচ্ছে সংশয়। বাজেট পেশের প্রায় সপ্তাহ গড়াতে চলল, এখনও রেলের ‘পিঙ্ক বুক’ কেন প্রকাশ করা হল না? বিলম্বের কারণ কী? বাংলা-সহ অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির বঞ্চনার দাবি কি সঠিক? বঞ্চনা ঢাকতেই ‘পিঙ্ক বুক’ প্রকাশে এহেন অনীহা কেন্দ্রের? উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুলাই সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের সাধারণ বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। রবিবার সন্ধ্যা অবধি রেলের জোনভিত্তিক বিভিন্ন প্রকল্প সম্বলিত ‘পিঙ্ক বুক’ প্রকাশ করেনি রেলমন্ত্রক। যা ঘিরে তৈরি হয়েছে শোরগোল। উল্লেখ্য, রেলের কোন প্রকল্পে কত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, তা ‘পিঙ্ক বুক’ থেকেই জানা যায়। জোনভিত্তিক বরাদ্দের খতিয়ান দেওয়া হয়। বোঝা যায়, কোন রাজ্যে রেল প্রকল্পে কত বরাদ্দ হয়েছে। জোনের বরাদ্দকৃত অর্থের হিসেবেই স্পষ্ট হয়, কোনও রাজ্য বঞ্চনার শিকার হয়েছে কি না। ফেব্রুয়ারিতে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেছিল মোদী সরকার। তাতে বাংলার একাধিক রেল প্রকল্পে এক হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। ‘পিঙ্ক বুকে’ই তার উল্লেখ আছে। আর রেলমন্ত্রী দাবি করেছেন, এবার বাংলার বিভিন্ন রেল প্রকল্পে রেকর্ড ১৩ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। ২৪ জুলাই রেলের ডিমান্ডস ফর গ্রান্টস সংসদে পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু ‘পিঙ্ক বুক’ প্রকাশ না করায় তুঙ্গে বিতর্ক। ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে একাধিক মহল।