Bengal Assembly সম্প্রতিই দিল্লীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে আয়োজিত হয়েছে নীতি আয়োগের বৈঠক। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তিনি বক্তব্য শুরু করতেই কণ্ঠরোধ করা হয় তাঁর। বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরছিলেন। বলছিলেন, কীভাবে বাংলার প্রাপ্য ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা আটকে রাখা হয়েছে। আর কথার মাঝেই মমতাকে থামাতে বারবার বেল বাজানো হয়, বন্ধ করে দেওয়া হয় মাইক! সেই বিষয়টিই আজ উঠল রাজ্য বিধানসভায়।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1817855368233451854
সোমবার সকালে রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া একটি বিশেষ প্রস্তাব আনেন। সেখানে তিনি মাইক বন্ধ করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবি জানালে তাতে অনুমোদন দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নীতি আয়োগের বৈঠকে যা হয়েছে, তা মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে হেনস্থা। যার ফলে তাঁকে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বাধ্য করা হয়েছে। আলোচনার দাবি জানিয়ে আরও বলা হয়েছে, ওই বৈঠকে কেবলমাত্র রাজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে বাংলা এবং অন্যান্য বিরোধী দল-শাসিত রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরছিলেন তিনি।
পাশাপাশি, এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে অ-বিজেপি রাজ্যগুলিকে বরাদ্দ না দেওয়ার কথাও বলার জন্য ওই বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন মমতা। মানস ভুঁইয়ার আরও অভিযোগ, “ওই বৈঠকে অন্যান্য ছোট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ১৪-২০ মিনিট পর্যন্ত বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে পাঁচ মিনিটের বেশি সময় বলতে দেওয়া হয়নি। তাঁর বলার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে তা আটকে দেওয়া হয়। এমনকী তাঁর কথা যাতে না শোনা যায়, তার জন্য মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল, বিরোধী স্বর রুদ্ধ করে দেওয়া।” একারণে মুখ্যমন্ত্রীকে যথেষ্ট অপমান ও হেনস্থা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মানস। সুতরাং, কেন্দ্রের এহেন আচরণে গভীরভাবে পীড়িত ও আহত বোধ করছে এই সভা।
bengal assembly