মোদী-জমানায় আরও একবার প্রকট হয়ে উঠল দেশের কর্মসংস্থানের বেহাল পরিস্থিতি। পাশাপাশি, প্রকাশ্যে এল রেলের চূড়ান্ত অব্যবস্থা। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতীয় রেলে শূন্যপদের সংখ্যা প্রায় দেড় লক্ষ। কর্মীর অভাবের জেরে কার্যত ধুঁকছে রেল। ট্রেন পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ, যাত্রী নিরাপত্তা সেই তিমিরেই। যার জেরে গত ক’বছরে অজস্র প্রাণঘাতী রেল দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশ। গাফিলতিপূর্ণ পরিকাঠামো থেকে প্রশিক্ষিত কর্মীর অভাব সর্বত্রই। এমতাবস্থায় দেশজুড়ে মাত্র ৭,৯৫১ নন-গেজেটেড পদে লোক নিয়োগ করতে চলেছে রেল। বাংলার ভাগ্যে জুটেছে মাত্র ৮৫১টি পদ। ভারতীয় রেলের গ্রুপ-সি পদমর্যাদার কর্মী নিয়োগ করে রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। রেলের অধীনে ২১টি আরআরবি রয়েছে। বাংলায় রয়েছে তিনটি, কলকাতা, মালদহ ও শিলিগুড়ি। সংশ্লিষ্ট তিনটি আরআরবিতে শূন্যপদের সংখ্যা যথাক্রমে, ৬৬০, ১৬৩ এবং ২৮টি।
নিয়ম অনুযায়ী, একজন আবেদনকারী এবার একটি মাত্র আরআরবির জন্যই আবেদন করতে পারবেন। দেশজুড়ে বিভিন্ন আরআরবিতে পরীক্ষায় বসার সুযোগ কেউ আর পাবেন না। অতীতে যেকোনও রাজ্য থেকে রেলের চাকরির পরীক্ষায় বসা যেত। এই নিয়মে পরিবর্তন এনেছে কেন্দ্র। একজন পরীক্ষার্থী কয়েকটি আরআরবিতে আবেদন করতে পারতেন, তা আর হবে না। রেল জানিয়েছে, একজন প্রার্থী একাধিক আরআরবির জন্য আবেদন করলে তা বাতিল করা হবে। ভবিষ্যতে আরআরবি আয়েজিত পরীক্ষায় বসার সুযোগও হারাবেন তিনি। সংশ্লিষ্ট পদে দু’দফায় পরীক্ষা হবে। প্রথম ধাপে কম্পিউটার বেসড টেস্ট। তাতে ১০০টি প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে হবে ৯০ মিনিটে। দ্বিতীয় ভাগে দু’ঘণ্টার সিবিটি। সেখানে ১৫০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। সফল পরীক্ষার্থীরা ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন করার পর মেডিক্যাল পাশ করলেই নিয়োগ পাবেন।