Mamata Banerjee বহুদিন থেকেই ছলে-বলে-কৌশলে বিভিন্ন সময় বঙ্গভঙ্গের জিগির তুলেছেন গেরুয়াশিবিরের নেতারা। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক আঙিনায়। অতিসম্প্রতিই সেই বিতর্ক উসকে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তুঙ্গে তোলপাড়। উত্তরবঙ্গকে পৃথক করে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারস্থ হয়েছেন সুকান্ত। বালুরঘাটের সাংসদের দাবি, উত্তরবঙ্গ নাকি বরাবরই রাজ্য সরকারের বঞ্চনার শিকার! উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের মিল বেশি। এই আবহে যদি উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়, তাহলে ‘উন্নয়নের’ জন্যে উত্তর-পূর্ব ভারতের বরাদ্দ অর্থ জুটবে উত্তরবঙ্গের ভাগ্যে। এর পরেই প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে তৃণমূল। নিন্দায় সরব হয়েছে অন্যান্য মহলও। মুখে উন্নয়নের কথা বললেও সুকান্তর এহেন দাবি যে পুরোপুরি রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী, তেমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
তবে এবার পুরোপুরি নস্যাৎ হয়ে গেল সুকান্তর এই ‘উত্তরবঙ্গ বঞ্চনা’র অভিযোগ। অতিসম্প্রতিই প্রকাশ্যে এসেছে রাজ্যের একটি রিপোর্ট। তা থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে উত্তরবঙ্গের জন্য পৃথক দফতর তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিগত ১২ বছরে রাজ্যের কোষাগার থেকে এই দফতরের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়া পূর্ত, সেচ, সমাজকল্যাণ সহ অন্যান্য দফতর রাজ্যজুড়ে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে, তার সুফলও পেয়েছে উত্তর বাংলা।
২০১০ সালের আগে উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন এবং পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে বাজেট বরাদ্দ করত তৎকালীন বাম সরকার। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১০-১১ অর্থবর্ষে অর্থাৎ বাম সরকারের শেষ বাজেটে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল মাত্র ৫৯ কোটি টাকা। নতুন সরকারে পৃথক দফতর তৈরি হওয়ার পর ২০১২-১৩ অর্থবর্ষে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন খাতে। এরপর বছর বছর উত্তরবঙ্গের জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়েছে রাজ্য। চলতি অর্থবর্ষে বরাদ্দ হয়েছে ৮৬১ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্টভাবে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন খাতে ৭ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1817135095574110519
mamata banerjee