neet: সোমবার থেকেই সংসদে শুরু হয়েছে বাজেট অধিবেশন। প্রথম দিনেই উত্তাল হয়ে উঠল সংসদ। মোদী সরকারের আমলে সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা নিট-দুর্নীতি নিয়ে সরব হল বিরোধীরা। ডাক্তারির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা নিটের প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে চাপে পড়ল কেন্দ্র। সোমবার, লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্বের শুরুতেই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, নিটের অনিয়মের জেরে ২৪ লক্ষ পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, ঘটনার দায় নিয়ে ইস্তফা দেবেন তিনি? বিহার পুলিশের সক্রিয়তা, সিবিআইয়ের তদন্ত এবং দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের এজলাসে মামলার শুনানির কথা উল্লেখ করেছেন ধর্মেন্দ্র। পাল্টা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর কটাক্ষ, নিজেকে বাদ দিয়ে বাকি সকলের ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী। রবিবার ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের মঞ্চ থেকেও নিট নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গের তথাকথিত টেট এবং এসএসসি দুর্নীতির অভিযোগে যদি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়ে থাকে, তবে স্বাধীনতার পরে দেশের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি নিটের প্রশ্নফাঁসের কাণ্ডে কেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে গ্রেফতার করা হবে না।” এরপরই আজ, সোমবার লোকসভায় ধর্মেন্দ্রকে নিশানা করল বিরোধী দলগুলি।
প্রসঙ্গত, এদিন লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে ধর্মেন্দ্রকে বিরোধী দলের এক সাংসদ বলেন, “গত সাত বছরে ৭০ বার সরকারি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস-সহ নানান অনিয়মের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। বেনিয়ম রুখতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে?” জবাবে মন্ত্রী বলেন, তিনি পূর্ণ দায়িত্ব সহকারে বলছেন, এনটিএ গঠনের পরে দেশে ২৪০টি পরীক্ষা হয়েছে। সাত বছরে কোনও রকম প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ নেই। ৭০ তো দূর, একটিও না! যে ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছে, তা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বিহারের পাটনার কাছাকাছি একটি এলাকায় একটিমাত্র পরীক্ষাকেন্দ্রে হয়েছে। যা বিহার পুলিশের সক্রিয়তার কারণে ধরা পড়েছে। সিবিআইও তদন্ত শুরু করেছে। বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে বিচারাধীন। সমস্ত তথ্যও প্রকাশ্যে এসেছে। এরপরই জিজ্ঞাসা করা হয়, ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে তিনি কি ইস্তফা দেবেন? জবাবে ধর্মেন্দ্র বলেন, তিনি এসেছেন তাঁর নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইচ্ছায়। তাই দায়িত্ব নেওয়ার প্রশ্ন যখন আসবে, একজোট হয়ে তার উত্তর দিতে বাধ্য সরকার। পাশাপাশি, ধর্মেন্দ্রর বক্তব্য, “দেশের কোটি কোটি মানুষ জানেন, পয়সা থাকলে ভারতের পরীক্ষার ব্যবস্থাটাকেই কিনে নেওয়া যায়। বিরোধীরাও তা মনে করে।” তাঁর এই মন্তব্যে পরই লোকসভায় ‘শেম শেম’ বলে আওয়াজ শুরু করেন বিরোধীরা। মোদী সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। “সরকার প্রশ্নপত্র ফাঁসের রেকর্ড করবে”, কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে এমনই বলেন তিনি।
neet neet exam eduaction minister
link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1815307674335986073