ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী রইল শহর। আজ, শুক্রবার ভোররাতে দমদমের নাগেরবাজার সংলগ্ন যশোর রোডের উপর একটি গেঞ্জির কারখানায় আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দমকলের ৩০টি ইঞ্জিন প্রায় ৬ ঘণ্টার চেষ্টা চালালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। এখনও আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছতে পারেননি দমকল কর্মীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, নাগেরবাজারে সরোজিনী নাইডু কলেজের ঠিক পাশেই অবস্থিত এই কারখানাটি। কারখানাটির পাশে একটি বেসরকারি আইসক্রিম সংস্থার গুদাম রয়েছে। সেখানেই প্রথমে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। এর পরই আগুন লাগে। ক্রমে তা কারখানাটিতে ছড়িয়ে পড়ে। ভোর ৩টে ৩০ নাগাদ আগুন লাগে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা খবর। তখনই দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকল আধিকারিকরা আগুন নেভানোর কাজে হাত দেন। কারখানার কর্মীরাও আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। নিমেষের মধ্যে আগুন এক কারখানা থেকে আরেক কারখানায়, তারপরে একটি গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে।
তবে ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। সকাল হতেই ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু সাড়ে চারটের মধ্যে ফরেন্সিকের প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন ভোররাত থেকেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি চললেও এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। ফলত আগুন যে কতটা ভয়ঙ্কর, বোঝাই যায়। তবে কারখানায় কেউ আটকে নেই বলেই খবর। পাশের গুদামেও কেউ আটকে নেই। তবে কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে এ বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হবে, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কিনা। যে কারখানাটিতে আগুন লেগেছে, তার পাশে একটি অনুষ্ঠানবাড়ি, ওষুধ, আসবাবপত্রের গুদাম এবং আরও একটি গেঞ্জির কারখানা রয়েছে। বেশিরভাগ গুদামেই দাহ্য পদার্থ উপস্থিত থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যাপারে আশাবাদী দমকল কর্মীরা।