বিদ্যুতের ঊর্ধ্বগামী দাম ইতিমধ্যেই দুশ্চিন্তায় ফেলেছে আমজনতাকে। অতিসম্প্রতিই সিইএসসির বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি নিয়ে সরব হন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বিদ্যুতের মাশুল কলকাতায় বাড়ানো হয়েছে আমি শুনলাম। আমাদের কাছে এই নিয়ে কোনও তথ্য নেই। তবে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের তরফ থেকে বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি করা হয়নি।” কেন দাম বাড়ানো হল, তা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। তবে বিজেপির এই বিষয়ে প্রশ্ন তোলার নৈতিক অধিকার নিয়ে মুখ খুলেছে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সংগঠন অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের। তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, যে আইনকে সামনে রেখে সিইএসসি খরচ বাড়িয়েছে, সেই আইন এনেছে মোদী সরকার। ফলত এ নিয়ে রাজ্য বিজেপির প্রতিবাদের কোনও নৈতিকতাই নেই।
এবিষয়ে অ্যাবেকার সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস বলেন, ফুয়েল অ্যান্ড পাওয়ার পার্চেজ অ্যাডজাস্টমেন্ট সারচার্জ (এফপিপিএএস) শিরোনামে অতিরিক্ত টাকার বোঝা গ্রাহককে চাপাচ্ছে সিইএসসি। তাদের সেই সুযোগ করে দেওয়া হয় কেন্দ্রের ইলেকট্রিসিটি অ্যামেন্ডমেন্ট রুল ২০২২-কে সামনে রেখে। ৩০ জুনের নোটিশে সিইএসসি জানিয়েছে, বিলের উপর ৫.৭ শতাংশ হারে এই চার্জ ধার্য হবে। অথচ এখানে বিজেপি বলছে, দাম বাড়ানো চলবে না। সিইএসসি’র এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অভিজিৎ ঘোষ বলেন, “কেন্দ্র যে বিধি এনেছে, তাকে ইতিমধ্যেই দেশের ৩৬টি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা মান্যতা দিয়েছে। আমরাও তাকে মান্যতা দিতে বাধ্য।” ফলত, ধোপে টিকছে না বিজেপির প্রতিবাদ। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে বঙ্গ গেরুয়া-নেতৃত্ব।